‘লেখক হিসেবে সংযোগ ওই বই প্রকাশের মাধ্যমে’
গল্পকার ও অনুবাদক নাজিব ওয়াদুদ বেশ পরিচিত নাম। এ ছাড়া উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া ও নাটক লিখেও সুনাম অর্জন করেছেন। রাজশাহী থেকে প্রকাশিত সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘নির্ঝর’, লিটলম্যাগ ‘পরিলেখ’ ও ‘নন্দন’ সম্পাদনা করেন। এ পর্যন্ত তার ১৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হল- ছোটগল্প : কাক ও কারফিউ, চতুর্ভুজসম্পা, নষ্ট কাল অথবা হৃদয়ের অসুখ এবং কমরেড ও কিরিচ। উপন্যাস : দ্বিতীয় হৃদয় ও বিয়ের ফুল। অনুবাদ : আনাড়ী রসিকজন ও জননায়ক। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওয়াহিদ সুজন
এবারের মেলায় কী কী আসছে? কোন প্রকাশনী বের করছে?
এবারের মেলায় আমার দুটি বই আসছে। দুটিই অনুবাদ। একটি হচ্ছে ‘আধুনিক ফিলিস্তিনী ছোটগল্প’। বের করছে মহাকাল প্রকাশনী। এটি ইতোমধ্যেই বেরিয়ে গেছে। অন্যটি হল ‘বিশ্বসেরা ছোটগল্প’। বের করছে মাওলা ব্রাদার্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘উত্তরণ’। এটি শিগগিরই আসবে।
প্রকাশিত বই সম্পর্কে বলুন?
বইয়ের নাম দেখেই তার পরিচয় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা করা যাচ্ছে। ‘আধুনিক ফিলিস্তিনী ছোটগল্প’ বইটিতে যে সব ছোটগল্প রয়েছে সেগুলো পড়লে ফিলিস্তিনীদের পরাধীনতার যন্ত্রণা, মানবিক বিপর্যয়, সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যাবে। আর দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘বিশ্বসেরা ছোটগল্প’ গ্রন্থে রয়েছে ১৬টি দেশের ২৭ গল্পের অনুবাদ। বিষয় এবং আঙ্গিক বিশিষ্টতায় এগুলো সব বিশ্বখ্যাত গল্প।
ঢাকার বাইরের লেখক হিসেবে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সঙ্গে নিজের সংযোগ ঘটান কীভাবে?
দেড় যুগ থেকে বাংলাদেশের গ্রন্থপ্রকাশ একুশে বইমেলাকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। ব্যাপারটা খুব খারাপ। যাই হোক, ঢাকার বাইরে অবস্থান এবং ব্যস্ততার কারণে মেলার সঙ্গে স্বশরীরে খুব বেশি সম্পৃক্ত হওয়া সম্ভব হয় না। তবে মেলার মাঝামাঝির দিকে দু’তিন দিনের জন্য ঢাকায় গিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করি সাধারণত। আর লেখক হিসেবে সংযোগ তো ওই বই প্রকাশের মাধ্যমে।
বইকে কীভাবে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন?
প্রথম কথা, বইয়ের খবর প্রচারিত হওয়া দরকার। কখন কার কী বই বের হল সেটা যদি পাঠক জানতে না পারে তাহলে সংগ্রহ করবে কী করে? তারপর আসে কাঙ্ক্ষিত বইটি হাতের কাছে পাওয়ার প্রশ্ন। এ জন্য শক্তিশালী বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। অনলাইন ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাকেও জনপ্রিয় করে তোলা যায়।
এইবার কী কী বই কিনবেন?
আমি সাধারণত সারাবছর ধরে বই কিনি। তবে বইমেলা থেকে বই কেনার মজা তো একটু আলাদাই হয়। এখনও ঠিক করিনি কী বই কিনব এবার। নতুন বইয়ের খবর তো এখনও ভালো করে জানি না।
বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
আমি এটাকে ইতিবাচক মনে করছি। বইয়ের স্টলগুলো বড় হওয়া দরকার যেন প্রকাশকরা বই ভালোভাবে ডিসপ্লে করতে পারেন, যেন পাঠকরা ভালোভাবে বই দেখার সুযোগ পায়, ঠেলাঠেলি করতে না হয়। তা ছাড়া প্রায় সব প্রকাশনীই যেন স্টল দিতে পারে। এ জন্য স্থান সম্প্রসারণ করার বিকল্প নেই। প্রথম দু-এক বছর অসুবিধা হতে পারে, তবে চালু রাখলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাসগুলো নিয়ে প্রবন্ধ লেখা অব্যাহত থাকবে। ‘গাঙের মানুষ’ নামে একটা ছোট উপন্যাস লিখেছিলাম বছর তিনেক আগে, সেটাকে বড় ক্যানভাসে নতুন করে লেখার পরিকল্পনা আছে এবার। আর নিয়মিত ছোটগল্প, প্রবন্ধ, লেখালেখির ব্যাপার তো থাকছেই।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/সা/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)