যশোর অফিস : নড়াইলের আলোচিত প্রতারক আবু দারদাকে আটক করেছে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি দল। বুধবার রাতে নড়াইল শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা হয়। আবু দারদা নড়াইল সদর উপজেলার ভওয়াখালী এলাকার হালিমা মঞ্জিলের আফসার উদ্দিনের ছেলে।

র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মোজাম্মেল হক জানান, আবু দারদা এক ডজনের বেশি প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার আসামি। সেনাবাহিনী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজ পাইয়ে দেওয়া, জমি বিক্রি, আসামি জামিন অথবা খালাস করে দেওয়া, চাকরিতে পদোন্নতিসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দুই কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। তার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সেনাসদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, গৃহবধূ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সুইপারসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আদালতের সীল-স্বাক্ষর জাল করে সে ভুয়া ওয়ারেন্ট বানিয়ে বহু মানুষকে বোকা বানিয়ে ফায়দা লুটেছে। বিভিন্ন সময়ে সে নড়াইলের ব্যবসায়ী আজিজ আহম্মেদের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা, শিক্ষক নজরুল ইসলামের কাছ থেকে সাড়ে আট লাখ, সেনাসদস্য ওলিয়ার রহমানের কাছ থেকে সাত লাখ, ব্যবসায়ী ছারি বিশ্বাসের কাছ থেকে দশ লাখ, নওশের মিয়ার কাছ থেকে সাত লাখ, গৃহবধূ ছাবিহা সুলতানার কাছ থেকে তিন লাখ, তিথির কাছ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার, ওদুদ মৃধার কাছ থেকে তিন লাখ, ডাক্তার আরিফের কাছ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার, বিপ্লবের কাছ থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার, মাইওয়ান শোরুম থেকে ৯৫ হাজার টাকা, মিলন নন্দীর কাছ থেকে এক লাখসহ বহু মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ সব প্রতারণার কারণে আদালত তিনটি মামলায় তাকে কারা ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আবু দারদার সুসম্পর্ক আছে। সে সুবাদে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে নড়াইল সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)