প্রাথমিকের বৃত্তি ঘোষণা রবিবার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রাথমিকের বৃত্তি ঘোষণা করা হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার। পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনায় রায় জানিয়েছেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ও সচিব কাজী আখতার হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বলে জানান তিনি।
এবারও আগের মত ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীই বৃত্তি পাচ্ছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। এরমধ্যে মেধাবৃত্তি (ট্যালেন্টপুলে) ২২ হাজার ও ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পাবে।
গত চার বছর ধরে বৃত্তির জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন প্রাথমিক সমাপনীতে শিক্ষার্থীর তুলনায় বৃত্তির পরিমাণ অনেক কম।
২০১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক সমাপনীর ফল গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। এবার প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৮ ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
প্রাথমিকে মোট পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৩২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪২ জন।
দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১৪ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন, অপরদিকে ইবতেদায়ীতে পেয়েছে ৭ হাজার ২৫৩ জন।
২০১১ সালের আগে প্রাথমিকে মেধা ও সাধারণ কোটা মিলিয়ে মোট ৫০ হাজার বৃত্তি দেওয়া হত। এর মধ্যে মেধাবৃত্তি ২০ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৩০ হাজার। ২০১১ সালে বৃত্তির সংখ্যা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করায় বৃত্তিপ্রাপ্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার হয়।
মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে প্রতি বছর ২ হাজার ৪০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় প্রতিমাসে ১৫০ টাকা করে প্রতি বছর এক হাজার ৮০০ টাকা পেয়ে থাকে। তিন বছর পর্যন্ত এ সুবিধা পায়। এ ছাড়া ৩ বছর পর্যন্ত প্রত্যেকে প্রতিবছর এককালীন ১৫০ করেও পেয়ে থাকে।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/জেএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)