দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : একশ ফুট উপর থেকে নিচে পড়ে দুই ভবনের মাঝে একটি সংকীর্ণ জায়গায় ৩৬ ঘণ্টা আটকে ছিলেন। এত উচু থেকে পাড়ায় মাথা ফেটে গেছে, একটি হাত ভেঙে গেছে, বাতাসের অভাবে ফুসফুসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু তাতে কি? প্রাণে বেঁচে গেছেন অ্যাশের ভোনতাও।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানে এ ঘটনা ঘটে। নিউইয়র্কে উচু থেকে পড়ে গিয়েও বেঁচে থাকার রেকর্ড অবশ্য আরো আছে। ৪৭ তলা থেকে পড়ে গিয়েও এক শ্রমিক বেঁচে ছিলেন। আর নিউইয়র্কে সংকীর্ণ জায়গায় আটকে পড়ে বেঁচে থাকার রেকর্ডও কম নয়।

তবে উদ্ধারকারী দলের প্রধান রিচার্ড জুনিয়র ব্লাটাসের কাছে অ্যাশেরের ঘটনাটা একটু অন্যরকম। কারণ নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অ্যাশের শুধু পড়েই যায়নি, ৩৬ ঘণ্টা আটকেও ছিলেন। রিচার্ড জানান, ছেলেটিই মনোবলই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

তবে, অ্যাশের কিভাবে, কোথা থেকে পড়ে গিয়েছিল তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ তলা ডরমেটরি ভবনের ছাদ থেকে অ্যাশের পড়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তারা আরো জানান, অ্যাশের মাত্র ১২ ইঞ্চি জায়গায় আটকে ছিল। তার শরীরের বাম অংশ মাটির সঙ্গে লেগে ছিল। ওই জায়গাটা এতোই সংকীর্ণ যে পাশ ফেরার বা নড়াচড়া করার কোনো উপায় ছিল না।

অ্যাশেরের একজন রুমমেট জানান, শুক্রবার রাতে অ্যাশের রুম থেকে বাইরে বের হওয়ার পরপরই কেউ ফায়ার অ্যার্লাম বাজায়। ওই সময় সবাই ভবন থেকে বের হতে গেলে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে আগুন লাগেনি বোঝার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু তারপর থেকেই অ্যাশেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

শনিবার রাতে তারা প্রথমে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মীদের জানায়। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে ফিরে যায় পুলিশ। পরে অ্যাশেরের রুমমেটই দুই ভবনের মাঝে তার সন্ধান পায়। সেখান থেকে উদ্ধারকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

(দিরিপোর্ট২৪/কেএন/জেএম/নভেম্বর ০৫, ২০১৩)