দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ক্ষতিগ্রস্থ আলুচাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সাতটি বামদলের জোট গণতান্ত্রিক বামমোর্চা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তোপখানা রোডের নির্মল সেন মিলনায়তনে আলুচাষিদের দুর্ভোগ ও দুর্দশা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণতান্ত্রিক বামমোর্চার সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার।

অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে উৎপাদিত আলু নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলুচাষিদের অসহায়ত্ব, হাহাকার ও সংকটের যে চিত্র দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম তুলে ধরছে তা শুধু আলুচাষিই নয়, সমগ্র দেশবাসীর জন্য উদ্বেগের।’

তিনি বলেন, ‘দেশের আলুর চাহিদা ৭০ লক্ষ টনের বিপরীতে এ বছর প্রায় ৯০ লক্ষ টনের বাম্পার ফলন হয়েছে। অথচ এ কৃতিত্বপূর্ণ অবদান তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা। কিন্তু প্রকৃত আলুচাষিরা দেড় থেকে দুই টাকার বেশি দাম পাচ্ছেন না। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় জেলা শহরের বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে। মাঝখান থেকে বিপুল মুনাফা লুটছে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। আলু সংরক্ষণের জন্য দেশে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।’

অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দেশে যে সব সংরক্ষণাগার আছে তাতে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টন আলু সংরক্ষণ করা যায়। বেসরকারি মালিকানার এ সংরক্ষণাগারগুলোতে আলু রাখতে কৃষককে প্রতি বস্তা ৩২০ টাকা গুণতে হয়। দেশে প্রক্রিয়াজাত কারখানা গড়ে তোলাসহ রপ্তানির উদ্যোগ বাড়াতে পারলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ বিষয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। প্রান্তিক চাষীদের কাছে এটা জীবনমরণ সমস্যা। তাই কৃষকদের ক্ষতিপূরণ সরকারকে দিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি) সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বাসদের মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/জেএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)