জাবির বিতর্কিত ২ ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিতর্কিত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে জাবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।
সভায় জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল স্বাক্ষরিত এক সুপারিশপত্রে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশারফ হোসেন হলে ছাত্রী অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগ নেতা মহিতোষ রায়ের (টিটো) নাম জড়িয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় যে সংবাদগুলো পরিবেশিত হয়েছে তার প্রেক্ষিতে সংগঠনটির ভাবমূর্তি খুণ্ন হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা ও তদন্তকালীন তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট প্রেরণ, জাবি শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুন খান বিভাগীয় ঘটনায় প্রশাসন কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ায় এবং তার ছাত্রত্ব না থাকায় তাকে জাবি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট সুপারিশ করা এবং শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ঘোষণাপত্র অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের নির্দেশনা জারি করা। এ ছাড়া যে সব ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এ ধরনের ৩০ জন নেতাকর্মীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কার্যকলাপে যেই অংশগ্রহণ করুক না কেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘যেই অন্যায় করবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগে কোনো অন্যায়কারীর আশ্রয় নেই।’
উল্লেখ্য, পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অযোগ্য হওয়ায়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনুমতি প্রদান না করায় গত ২৩ জানুয়ারি জাবি শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মামুন খান একই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম মঈনুদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি আজীবন বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করে। অন্যদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ৩টায় মীর মোশারফ হোসেন হলের ১১০নং কক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ফিন্যান্স, ৩য় বর্ষ) এক ছাত্রীসহ জাবি শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায়কে (টিটো) আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাবি শাখা ছাত্রলীগ ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/এমসি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)