মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : প্রতিশ্রুতি, ভোট প্রার্থনা, অভিযোগ আর জনসংযোগে সময় কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা।

উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান ও শওকতুল ইসলাম শকু দুজনই নিজেকে ১৯ দলের প্রার্থী দাবি করে একে-অন্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া হান্নান ও শকু একে-অন্যকে আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলছে। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়তে পারে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে, আ স ম কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হওয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।

স্থানীয়দের মতে, এই তিন প্রার্থীর মধ্যেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

অন্যদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এই পদে জামায়াত ও বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও জাসদ সমর্থিত দুজন প্রার্থী মাঠে কাজ করছেন। জাসদ সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে আবার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় অনেকের সুসম্পর্ক রয়েছে।

উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান নিজেকে বিএনপি তথা ১৯ দলের প্রার্থী দাবি করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, শওকতুল ইসলাম শকু গত ১৫ বছর ধরে বিএনপির পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে কাজ করছেন। এ ছাড়া তিনি কুলাউড়া উপজেলা ও জেলা ১৯ দলের সমর্থিত প্রার্থী। তার সঙ্গে নির্বাচনে কাজ করছে জামায়াত, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজাসহ অনেকে।

নিজেকে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মনোনীত প্রার্থী দাবি করে শওকতুল ইসলাম শকু দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আব্দুল হান্নান স্বঘোষিত প্রার্থী। জেলা বিএনপি সভাপতি এম নাসের রহমান ছাড়া কেউ তার সঙ্গে নেই।

তিনি বলেন, তার সঙ্গে ১৯ দলীয় জোটের সব শরিক দলের নেতাকর্মীসহ কুলাউড়া বিএনপির অনুসারী আটটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন মাঠে সক্রিয় থেকে কাজ করছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৩টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও ১৯টি চা বাগান নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা গঠিত।

নারী-পুরুষ মিলে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ১১ হাজার ১৯০। ৯৩টি ভোট সেন্টারে রয়েছে ৫৯০টি ভোট কক্ষ। ১৯ ফেব্রুয়ারি এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রসঙ্গে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, কিছু প্রার্থী একে-অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/টিএফ/এমএআর/এএল/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)