‘আগামীবার মেলা আরও গুছিয়ে উঠবে’
সমকালীন গদ্যশিল্পীদের মধ্যে শাহাদুজ্জামান অন্যতম। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার, সম্পাদনা, অনুবাদ ও গবেষণায় তিনি সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন দারুণভাবে। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হলো- কয়েকটি বিহ্বল গল্প, পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ, ক্রাচের কর্নেল, চ্যাপলিন আজো চমৎকার, ক্যাঙ্গারু দেখার শ্রেষ্ঠ দিন, কথা পরম্পরা : গৃহীত ও ভাষান্তরিত সাক্ষাৎকার এবং একটি হাসপাতাল, একজন নৃবিজ্ঞানী, কয়েকটি ভাঙা হাড়। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়াহিদ সুজন
এই মেলায় কী কী বই আসছে? কোন প্রকাশনী থেকে আসছে?
এবার মেলায় আমার তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। মাওলা ব্রাদার্স থেকে গল্পের বই ‘অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প’, আগামী প্রকাশনী থেকে ‘শাহবাগ ২০১৩’ এবং ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে ‘আধো ঘুমে ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে’।
নতুন বই সম্পর্কে পাঠকদের কিছুটা ধারণা দিন...
‘অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প’ বইটিতে মৌলিক ১০টি গল্প আছে। আমার অন্যান্য গল্পগ্রন্থের মতোই এই বইয়ে বিষয় এবং আঙ্গিকের দিক থেকে নানা বৈচিত্র্য এবং নিরীক্ষা আছে। ‘শাহবাগ ২০১৩’ বইটিতে শাহবাগের গনজাগরণ বিষয়ে আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্নেষণ আছে। শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে আমি গত বছর পত্রিকায় বিভিন্ন লেখা লিখেছি এবং এক তরুণ লেখকের সঙ্গে ই-মেইল বিনিময় করেছি। এই বইটিতে সেই লেখাগুলো সঙ্কলন করা হয়েছে। ‘আধো ঘুমে ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে’ বইটি মূলত কিউবার কিংবদন্তি নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর জীবনের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি ডকুফিকশন। এতে বাংলাদশের এক তরুণকে ক্যাস্ট্রোর মুখোমুখি করা হয়েছে, যে ক্যাস্ট্রোর মুখে শোনে তার আশ্চর্য জীবনের গল্প।
এই বইগুলোর প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা থাকলে বলুন...
আমি কাজের সূত্রে দেশের বাইরে থাকি। এবার মেলার সময়টা দেশে থাকছি এটি আমার জন্য আনন্দের। আলাদা করে প্রকাশনাকে ঘিরে উল্লেখযোগ্য বিশেষ কোনো ঘটনা নাই।
মেলা থেকে কী ধরনের বই কিনবেন? কোনো লিস্ট করেছেন কি?
বইমেলা থেকে কী বই কিনব, তা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। খোঁজ খবর করছি। পরে তালিকা করব।
মেলার সম্প্রসারণকে কীভাবে দেখছেন?
মেলার সম্প্রসারণকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। পুরো আয়োজনটা এখনও গুছিয়ে ওঠেনি; কিন্তু পরিসর যে অনেক বেড়েছে সেটা ভালো লাগছে আমার। বইমেলা শুধুমাত্র গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বই কেনার মেলা না। এখানে একটু এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা দেওয়ার পরিসর দরকার, সেটা পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি, আগামীবার মেলা আরও গুছিয়ে উঠবে।
লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলুন...
আমি দুটি উপন্যাস লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটি আমার ‘ক্রাচের কর্নেল’ বইটার পরবর্তী কালপর্ব নিযে এক ধরনের সিক্যুয়াল। এ ছাড়া জীবনানন্দ দাশের জীবনের ওপর ভিত্তি করে একটি উপন্যাস লেখাতেও হাত দিযেছি।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এপি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪)