বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের রুমায় বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাঠ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেস্তরাম ত্রিপুরা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিংসন বমের বিরুদ্ধে চম্পাফুল, গুদাগুটগুটিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মূল্যবান কাঠ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়, রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ৩৭২নং নাইতিং মৌজার দুর্গম সিংলক পাড়া, অনরাম পাড়া, রুংটং পাড়া, বিশাই পাড়াসহ মৌজার বিভিন্ন সরকারি জায়গা থেকে চম্পাফুল, গুদাগুটগুটিয়াসহ বিভিন্ন জাতের শতশত গাছ কেটে পাচার করছেন তারা।

স্থানীয় ত্রিপুরা ছাত্রাবাসের নামে ৩ শ’ ঘনফুট কাঠের অনুমতি নিয়ে এই কাঠ পাচার চালানো হচ্ছে। পাহাড় থেকে গাছগুলো কেটে ট্রাক-নৌকাযোগে রুমা খালের মুখে মজুদ করা হচ্ছে। সেখান থেকে জোত পারমিটের অনুকূলে জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে নাইতিং মৌজার হেডম্যানসহ স্থানীয়রা গত বৃহস্পতিবার বনবিভাগের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

৩৭২ নং নাইতিং মৌজার হেডম্যান বাশৈচিং মারমা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মেস্তরাম ত্রিপুরা রুমা সদরের ত্রিপুরা ছাত্রাবাসের নামে ২০১২ সালে বনবিভাগ থেকে ৩ শ’ ঘনফুট কাঠের অনুমতি নিয়ে দু’বছর ধরে হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ পাচার করে আসছেন। একাধিকবার নিষেধ করার পরও তিনি গাছ কাটা ও কাঠ পাচার বন্ধ করেননি। কাঠ পাচারের ফলে নাইতিং মৌজার সোনাই খালটি ইতোমধ্যে শুকিয়ে গেছে। ফলে সিংলক পাহাড়সহ আশপাশের গ্রামগুলো বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ছে। রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যান এই কাঠ পাচারের সঙ্গে জড়িত।তবে বিষয়টি অস্বীকার করে রেমাক্রী প্রাংসা ইউপি চেয়ারম্যান মেস্তরাম ত্রিপুরা বলেন, ৩৭২নং নাইতিং মৌজার সরকারি জুমের পাহাড় থেকে গাছ কাটা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (পাল্পউড বাগান) মো. মোজাম্মেল হক দ্য রিপোর্টকে জানান, কাঠ পাচারের বিষয়টি বনবিভাগের জানা নেই। অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকায় ৩৭২নং নাইতিং মৌজার হেডম্যানের দেওয়া অভিযোগটিও হাতে পৌঁছায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/ইইউ/এসকে/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪)