আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল শনিবার
মুখোমুখি শেখ জামাল-কলকাতা মোহামেডান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ইস্ট বেঙ্গল, মোহামেডান ও মোহনবাগান; ফুটবলে এ ৩টি দল কলকাতার অহংকার। আইএফএ শিল্ডে এ অহংকারের ত্রিভুজের ২টি সরলরেখা ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ফাইনালে কলকাতা মোহামেডানকে হারাতে পারলে পুরোটাই ভাঙা হয়ে যাবে অভিজাত পাড়ার দলটি। পাশাপাশি প্রথমবারের মত কোনো বাংলাদেশি ক্লাব হিসেবে আইএফএ শিল্ড জেতার স্বাদ নেবে শেখ জামাল। যুব ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার জলসা মুভিজ।
১৯৯৫ সালে ভারতের ঐতিহ্যবাহী এ ফুটবল আসরটির ফাইনালে খেলেছিল ঢাকা মোহামেডান। ওই আসরে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হেরে রানার্সআপ শিরোপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সাদা-কালো শিবিরকে। এটাই ছিল আইএফএ শিল্ডে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ সাফল্য ডিঙিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবে দল এমন স্বপ্নই দেখছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের। শুক্রবার কলকাতা থেকে মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছেন, ‘মানসিক ও শারীরিক দুই দিক থেকেই ফিট রয়েছে আমাদের ছেলেরা। ফাইনালে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই শিরোপা জিতে দেশে ফিরতে পারব। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া প্রার্থনা করছি।’
আইএফএ শিল্ডের ১১৮তম আসরে গ্রুপ পর্বে এই মোহামেডানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাত্রা শুরু হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। পরের দুই ম্যাচে সিকিম ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে এবং মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছিল হলুদ-নীল শিবির। এটি ছিল আইএফএ শিল্ডে মোহনবাগানের বাংলাদেশের কোনো ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম হার। সেমিফাইনালে ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে খেলছে যোসেফ আফুসির শিষ্যরা। এটিও ছিল ইস্ট বেঙ্গলের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো ক্লাবের প্রথম জয়।
গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে শেখ জামালের ফুটবলারদের। তবে এ ম্যাচকে মোটেও প্রতিশোধের ম্যাচ মনে করছেন না তাদের নাইজেরিয়ান কোচ যোসেফ আফুসি। ভালো খেলে শিরোপা জিততে চাইছেন তিনি। ইনজুরির কারণে আগের ম্যাচে খেলতে পারেনি গোলরক্ষক জিয়া। তার বদলি গোলরক্ষক হিমেল ভালো খেলেছে বলেই মনে করছেন এ কোচ। তাই জিয়ার ইনজুরি নিয়েও চিন্তিত নন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলাপচারিতায় আফুসি জানিয়েছেন, ‘আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য মাঠে নামব। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারের বিষয়টি খেলোয়াড়দের ভুলে যেতে বলেছি। আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে আমরা শিরোপা জিতব। খেলায় হার জিত থাকবেই। এখানে প্রতিশোধের কিছু নেই।’
ফাইনালে শেখ জামালের তুরুপের তাস হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড সনি নর্দে। সঙ্গে রয়েছে স্বদেশী ওয়েডসন ও নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন। এ আসরে দুর্দান্ত খেলছেন সনি নর্দে। এখন পর্যন্ত নিজে ৩ গোল করেছেন এবং বেশকিছু গোলে বলের জোগান দাতা ছিলেন এ হাইতিয়ান। ওয়েডসন ৩টি এবং এমেকা করেছেন ২টি গোল।
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এমএ/সা/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪)