দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করলেন ভারতের বহুল আলোচিত নতুন রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

ক্ষমতা গ্রহণ করেই ভারতীয় রাজনীতিতে ভূমিকম্প সৃষ্টি করেছিলেন কেজরিওয়াল। এখন আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করে আবার সবকিছু ওলটপালট করে দিলেন তিনি।

লোকসভায় তার আনা এক দুর্নীতিবিরোধী বিল কংগ্রেস ও বিজেপির আইন প্রণেতারা আটকে দিলে এ পদত্যাগ সিদ্ধান্ত নেন কেজরিওয়াল।

নিজ রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় উল্লাসরত সমর্থকদের উপস্থিতিতে কেজরিওয়াল বলেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপি জানে যদি এই বিল পাস করে আইনে পরিণত করা হয়, তাহলে তাদের নেতারা সব জেলে পঁচে মরবে।’

এর আগে দিল্লির রাজ্যসভায় তিনি উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি একবার নয়, দরকার হলে হাজারবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিব।’

জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে এই বিলটি প্রথম রাজ্যসভায় উত্থাপন করেন কেজরিওয়াল। বিলটিকে আম আদমি পার্টির প্রধান মিশন হিসেবে আখ্যা করে তিনি বলেন, তার দলের প্রধান লক্ষ্য হল ভারতীয় রাজনীতি থেকে দুর্নীতি দূর করা এবং স্বার্থপর নেতাদের বিতাড়িত করা।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত দিল্লির প্রাদেশিক নির্বাচনে আম আদমি পার্টি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। এরপর তৃতীয় স্থান লাভকারী কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে কেজরিওয়াল সরকার গঠন করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। ওই নির্বাচনে বিজেপি প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। কিন্তু এককভাবে সরকার গঠনের মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি।

তবে সরকার গঠনের পর কেজরিওয়াল ঘোষণা করেন, আম আদমি পার্টির ক্ষমতার প্রতি কোনো লোভ নেই। আর কংগ্রেসকেও তারা মিত্র মনে করেন না। কারণ কংগ্রেস থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত দিল্লির মন্ত্রীরা ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কেজরিওয়াল ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির সঙ্গে মিলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেসের তেল মন্ত্রী ভিরাপ্পা ও মুকেশের বিরুদ্ধে এক দুর্নীতি মামলার প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/সা/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪)