দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : যুদ্ধবন্দিদের গ্যাস চেম্বারে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি হিটলারের নাৎসি বাহিনী। ম্যালেরিয়ার জীবানুবাহিত মশাকেও জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল তারা! সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য পেয়েছেন বলে জার্মানির টুবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ক্লাসউস রেইনহার্ডস দাবি করেছেন। খবর বিবিসি।

জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর হিটলার ১৯৩৩ সালের ২২ মার্চ যুদ্ধবন্দিদের জন্য দাচাউ বন্দিশিবির প্রতিষ্ঠা করেন।

এর পর ১৯৪২ সালে হেনরিচ হিমলারের নেতৃত্বে জার্মানির দাচাউ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ড. ক্লাউস সিলিং সেখানে গবেষণার জন্য বন্দিদের দেহে মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবানু ঢুকিয়ে দিতেন। আর যে সব বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো তাদের দেহকে তিনি পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করতেন।

ড. রেইনহার্ডস ইনডেভার জার্নালে দাবি করেছেন যে, সম্প্রতি দাচাউয়ে এমনই সব মশা আবিষ্কার করেছেন যেগুলো খাদ্য ও পানীয় ছাড়াই চার দিন বাঁচতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের ম্যালেরিয়ার জীবানুবাহী মশাকে বিমান থেকে ছেড়ে দেওয়া হতো। আর সেগুলো একসঙ্গে অনেক বন্দিকে আক্রান্ত করতে পারত। সে সময় এগুলোকে জৈব অস্ত্র হিসেবে শত্রু নিধনে ব্যবহার করা হতো।

ড. রেইন হার্ডসের মতে, দাচাউ ইনস্টিটিউটের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বন্দিশিবিরে আটককৃতদের পতঙ্গবাহিত রোগে আক্রান্ত করে মেরে ফেলা। বিশেষ করে টাইফয়েড জাতীয় জ্বরে আক্রান্ত করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

তবে ড. ক্লাউস সিলিংয়ের ভূমিকা আসলে কী ছিল সে সম্পর্কে তেমন কোনো মন্তব্য করেনি ড. রেইন হার্ডস।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ২ লাখ লোককে দাচাউ বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে ৪৫ হাজার ৫০০ জনকে হত্যা করে জার্মান বাহিনী।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএন/এএল/শাহ/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪)