‘বাপে তাড়ানো ও মায়ে খেদানোরা তত্ত্বাবধায়ক চান’
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপুমনি বলেন, বাপে তাড়ানো ও মায়ে খেদানো কিছু লোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান। এসব লোকজন নিজে অনেকবার নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার আয়োজিত সমাবেশে দীপুমনি আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি থাকলে তারা নতুন জামা-কাপড় পড়ে ক্ষমতার স্বাদ নিতে নেমে পড়েন। অগণতান্ত্রিকভাবে দেশের খবরদারি করেন। নিজের ভাগ্য বদলের সঙ্গে কাছের কিছু লোকের ভাগ্য তারা পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারেন না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ হরতালবিরোধী এই সমাবেশের আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপুমনি বলেন, ‘গত পাচঁ বছরে পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচনে ৬৪ হাজার ২৩ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এসব নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিরও অংশগ্রহণ ছিল। এখন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে তারা টালবাহানা শুরু করেছে।’
তিনি তার বক্তৃতায় আরো বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরদিনের জন্য মৃত।’ এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত যখন কোনো বিষয়কে সংবিধানের পরিপন্থী ঘোষণা করেন তখন সেটিকে আর সংবিধানে ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকে না।’
আদালত কর্তৃক দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে যে নির্দেশনা আছে সেক্ষেত্রে বিরোধী দল মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল আসল কথা বলে না। আদালতের রায় অনুযায়ী কোনো অনির্বাচিত প্রতিনিধি এবং বিচার বিভাগের কাউকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেওয়া যাবে না।’
বিরোধী দলের কর্মসূচীর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কর্মসূচী দেয় খালেদা জিয়ার দুর্নীতিবাজ সন্তানদের মামলার তারিখ অনুযায়ী। এসব কর্মসূচীতে দেশের কোনো স্বার্থ নেই। স্বার্থ আছে জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির। দেশপ্রেমিক জনগণকে এসব অপতৎপরতাকে রুখে দাড়াতে হবে।’ বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে অসৌজন্যতা প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ করে দিপুমনি বলেন, ‘একজন নারী রাজনীতিক হিসেবে আমি খুবই লজ্জা বোধ করছি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিরোধী দল নির্বাচনের ট্রেন মিস করলেও গন্তব্য লক্ষ্যচ্যুত হবে না।’ বিরোধী দলের প্রতি ষড়যন্ত্র বন্ধ করে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান তিনি।’
সজীব ওয়াজেদ জয়-এর সমালোচনাকারীদের প্রতি লক্ষ্য করে জনাব নাসিম বলেন, ‘জয় উচ্চ শিক্ষিত ও মার্জিত ব্যক্তিত্ব। তার মতো ভদ্র রাজনীতিককে লক্ষ্য করে যারা বিরূপ মন্তব্য করেন তাদের মানসিক চিকিৎসা করানো দরকার।’
ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই হরতালবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাউসার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।
(দিরিপোর্ট২৪/বিএইচ/এমএইচ/ এমডি/ নভেম্বর ০৫, ২০১৩)