রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল দাবি
২৬ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় শহরে জাতীয় কমিটির সমাবেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতাযুক্ত জাতীয় চুক্তিসমূহ বাতিল ও ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
এ ছাড়া মার্চে বিভিন্ন পর্বে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর ও জনসংযোগ শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে জাতীয় কমিটি।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে শনিবার সকালে ‘সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল ও ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে’ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এ সব কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয় কমিটি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. শহিদুল্লাহ, সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, রাগিব হাসান, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, অ্যাড. শ্যামল কান্তি দে, নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।
কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতের মুনাফা অর্জন। ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থা এনটিপিসি ও বাংলাদেশের পিডিবি যৌথভাবে প্রকল্প পরিচালনা করলেও নির্মাণ ব্যয় এবং সুদের জন্য ভারত অস্বাভাবিক মুনাফা পাবে। আমরা শূন্যের কোঠায় নামমাত্র মুনাফা পাব।’
সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশের লাভ হলো- সরকারের কিছু এমপি-মন্ত্রী সুন্দরবনের ভূমি দখল করে ব্যবসা করতে পারবে। ইতোমধ্যেই সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানের ভূমি দখল ও তা বিক্রির পাঁয়তারা চলছে। সরকার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে গিলে খাবে। ভূমি দস্যুদের দিয়ে সুন্দরবন গ্রাস করাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার গভীর ও অগভীর সমুদ্রের বিভিন্ন গ্যাস ব্লকে যে ইজারা চুক্তি করতে যাচ্ছে তাতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হবে না। এ রকম মডেল চুক্তি (সংশোধিত মডেল পিএসসি-২০১২) সম্পাদন করলে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদ শুধু বিদেশি কোম্পানিদের দখলেই যাবে না, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পায়নের জন্য গ্যাস সম্পদকে কাজে লাগানোও সম্ভব হবে না।’
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমডি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪)