এ যেন বইমেলা নয় মিলনমেলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সকল বয়সী ও শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে শনিবার গ্রন্থমেলার ১৫তম দিনটি পরিণত হয়েছিলো এক মিলনমেলায়। একুশের চেতনাকে ঋদ্ধ করার অভিপ্রায়ে দলবদ্ধভাবে দর্শনার্থীদের আগমন ও সেই সাথে বইকেনা প্রকাশকদের মুখের হাসিকে আরো বিস্তৃত করেছে।
ছুটির দিন হওয়াতে গতকাল মেলা শুরু হয় সকাল দশটায়। আর সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত শিশু কর্নারে ছিল শিশুপ্রহর। ছোট্ট সোনামণিদের কোলাহল, খেলাধুলা, ছোটাছুটি আর অভিভাবকের হাত ধরে পছন্দের বইটি কেনা ছিল শিশুপ্রহরের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। বরাবরের শিশুপ্রহরগুলোর মতো শনিবারের শিশুপ্রহরেও শিশুদের বইয়ের বিক্রি ছিল আশাব্যঞ্জক। ঠাকুরমার ঝুলি, টম এন্ড জেরি, সাইন্সফিকশন ও ভৌতিক কাহিনীর বইগুলো বিক্রি হয়েছে বড়দের বইয়ের তুলনায় অনেক বেশি। সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত শিশুপ্রহরে শিশুদের বই বেশি বিক্রি হলেও বিকেল পাঁচটার পর থেকে বড়দের বইয়ের বিক্রি বাড়ে।
সরকারি ছুটির দিন হওয়াতে নানা বয়সী ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছিলেন বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্টলগুলোর সামনে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত নারী ক্রেতাদের অনেককেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ইসলামী বই ও রান্নার বইসহ নানা ধরনের বই খুঁজতে দেখা গেছে। বড়দের বইয়ের বিক্রির মধ্যে উপন্যাসই ছিলো শীর্ষে। মেলার প্রথম দিন থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে বলে এবারের মেলার সফলতা নিয়ে অনেকটা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন প্রকাশকরা।তবে রাস্তার পাইরেটেড বইয়ের দোকানগুলো বন্ধ করা গেলে মেলা আরও সফলতার দিকে যেতে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন কয়েকজন প্রকাশক। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের মেলায় তারুণ্যের যে উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে একুশে গ্রন্থমেলার জন্য অনেক বেশি সুফল বয়ে আনবে এমন ভাবনা অনেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/কেএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৫,২০১৪)