মজীনা এখন বড় রাজনীতিবিদ : মেনন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা এখন দেশের বড় রাজনীতিবিদ। আমেরিকা বর্তমানে দ্বি-মুখী নীতি অবলম্বন করছে। তিনি (রাষ্ট্রদূত) সকালে এক রকম কথা বলেন, আবার বিকেলে আরেক রকম কথা বলেন।’
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে শনিবার বিবিসি-বাংলাদেশ সংলাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের দৃশ্যমান অবনতির কারণে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে কি বাংলাদেশের অসুবিধা হতে পারে- দর্শকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন মন্ত্রী।
মেনন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি বাতিলের ব্যাপারে বাণিজ্যের চাইতে রাজনৈতিক বিষয়টি প্রধান হয়ে কাজ করেছে। জিএসপি প্রত্যাহার করায় দেশের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ ৬০০ মিলিয়ন ডলার পেত।’
তিনি বলেন, ‘জিএসপির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬টি শর্তের মধ্যে ১৩টি শর্ত আমরা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করেছি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শর্তের সঙ্গে ড. ইউনূস বা নির্বাচনকে জড়ানো খুবই অযৌক্তিক।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেন, ‘জিএসপি বাতিল হওয়ায় আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে যদি কোনো প্রভাব না পড়ে তবে তাদের দেওয়া ১৩টি শর্ত পূরণ করতে হলো কেন?’
মেননের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থিত দর্শকদের একজন বলেন, ‘জিএসপি বাতিল কোনো ব্যাপার নয়। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি কোনো ব্যাপার নয়। তাহলে কি এমন হলে আমাদের জন্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে?’
পাঁচ বছরের আগে পরবর্তী নির্বাচন নয় বলে মন্ত্রীরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা কি আগাম নির্বাচনের দাবি আদায়ে বিএনপিকে আবারও আন্দোলনের পথে ঠেলে দিতে পারে- দর্শকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মঈনুল হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলেছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এ নির্বাচন করা হয়েছে। এখন জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি নির্বাচন হওয়া দরকার। তা না হলে শুধু বিএনপি কেন জনগণ আন্দোলনের দিকে যাবে।’
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে হান্নান শাহ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে অনেকেই অবৈধ বলেছে। উপজেলা স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন। এর দ্বারা সরকার পরিবর্তন হয় না। তাই এখানে আমরা অংশ নিচ্ছি।’
বিবিসির সংবাদদাতা আকবর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এনডিএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪)