কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে মানব ফুসফুস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। পুনরুৎপাদনশীল ওষুধের ক্ষেত্রে এটি চাঞ্চল্যকর অগ্রগতি। তবে এ অগ্রগতি রোগীদের খুব বেশি বছর ধরে সহায়তা করতে পারবে বলে মনে হয় না।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল শাখার গবেষক জন নিকোলাস বলেন, ‘এটি অসাধারণ এক সাফল্য। আগে এটি ছিল কল্পবিজ্ঞান, আর এখন তা আমরা বাস্তব বিজ্ঞানে রূপ দিতে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘যদি ফুসফুসটি ঠিক মতো কাজ করে, যা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তা হলে এ থেকে এক হাজার ৬০০ এর অধিক রোগী উপকৃত হবেন। যাদের ফুসফুস প্রতিস্থাপন দরকার।’
ফুসফুস ছাড়াও বিজ্ঞানীরা শ্বাসনালী ও লিভারের মতো অঙ্গও বিজ্ঞানাগারে কৃত্রিমভাবে উৎপাদন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি এক সময় পুরো মানবদেহের সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই বিজ্ঞানাগারে উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন বিজ্ঞানীরা।
নিকোলাস বলেন, ‘টেক্সাস গবেষকরা গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিশুর ফুসফুস থেকে কয়েকটি তাজা টিস্যু বা জীবকোষ নিয়ে এ গবেষণা চালান। চার সপ্তাহের মধ্যেই তারা একটি পূর্ণাঙ্গ মানব ফুসফুস উৎপাদন করতে সক্ষম হন।’
‘এভাবে আরও দুজন নিহত শিশুর ফুসফুস থেকে জীব কোষ নিয়ে একই প্রক্রিয়ায় তারা আরেকটি ফুসফুস উৎপাদন করেন। ফুসফুসগুলো দেখতে অবিকল আসল ফুসফুসের মতোই লাগছিল’ বলেন নিকোলাস।
তবে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত ফুসফুস মানবদেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপনের জন্য হয়ত আরও ১২ বছর সময় লেগে যাবে।
এর আগে, ২০১১ সালে চিকিৎসকরা প্রথম কৃত্রিম শ্বাসনালী প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হন। এরপর তারা ছয়জনের দেহে তা প্রতিস্থাপন করেন। তবে তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই দুজনের মৃত্যু কৃত্রিম শ্বাসনালী প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে হয়নি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : সিএনএন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/এমএআর/এএল/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪)