বগুড়া প্রতিনিধি : বাংলা পঞ্জিকার পাতায় ঋতুরাজ বসন্ত শুরু হয়েছে মাত্র। বসন্ত ঋতুর তৃতীয় দিন শনিবার বগুড়ার আকাশ যেন আষাঢ়ময়। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সারাদিনের বৃষ্টিতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। খেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আলু ও সরিষাচাষিরা আতঙ্কিত। শ্রমজীবী মানুষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে।

শহরের শিববাটি এলাকার আব্দুল বারিক খান জানান, বৃষ্টির কারণে ছেলে-মেয়ের স্কুলের গাড়ি সময়মতো আসেনি। প্রতিদিনের ন্যায় নির্দিষ্ট সময়ে তাকে সন্তানদের নিয়ে স্ট্যান্ডে এসে অপেক্ষা করতে হয়েছে। আবার সকালের শিফটের এক সন্তানকে বৃষ্টির কারণে স্ট্যান্ডে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় স্কুলের গাড়ি পাওয়া যায়নি। ফলে তার স্কুল মিস হয়েছে।

শহরের রাজাবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, বৃষ্টি উপক্ষো করে দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতা না আসায় পণ্য তেমন বিক্রি হয়নি। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার আলুচাষি দেলোয়ার হোসেন ও মোস্তাফিজার রহমান বলেন, জমি থেকে আলু তোলা শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় বৃষ্টি হওয়ায় আলু ভিজে গেছে। তাই আগামী দুদিনেও জমি থেকে আলু তোলা সম্ভব হবে না। রোদ ভালো না হলে ৩-৪ দিনেও জমির মাটি শুকাবে না। ফলে আলুর পচন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুপচাঁচিয়া উপজেলার সরিষাচাষি এমরান হোসেন প্রামাণিক বলেন, বৃষ্টির পানি সরিষা গাছের গোড়ায় চলে গেছে। এতে গোড়া পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শেরপুর উপজেলার খানপুর এলাকার ভুট্টাচাষি সোহেল রানা ও জয়নাল আবেদীন বলেন, ভুট্টার খেতে মাঝেমধ্যে সেচ দিতে হয়। এক মৌসুমে চারবার সেচ লাগে। এতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। আর শনিবার দিনভর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভুট্টাগাছের মাথায় পানি পাওয়ায় দুই ভাবে উপকার হয়েছে। গাছের ওপর থেকে পানি পড়ায় ভুট্টাগাছের সজীবতা ফিরে আসবে।

বৃষ্টির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কারণ নির্ধারণের যন্ত্র আমাদের নেই। তবে শনিবার জেলায় ৩০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এমএআর/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)