বগুড়ায় অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর মুক্তিপণে মুক্ত
বগুড়া প্রতিনিধি : জেলার শেরপুরে অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে সাজিদ খান (৬) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সাজিদ খান উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোল গ্রামের স্বাধীন খানের ছেলে। সে আর-রাযী ক্যাডেট ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার নার্সারির ছাত্র।
স্বাধীন খান বলেন, শুক্রবার বিকেলে বাড়ির সামনে একটি মাঠে ফুটবল খেলা চলছিল। এ সময় তার ছেলেও খেলতে যায়। বিকেল ৫টার পর ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি মৌখিকভাবে স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়।
এরই মধ্যে অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ছেলের মা জীবন্নাহার খানের মোবাইলে (০১৭৪৩-৬৬০৬৮৬) একটি নাম্বার থেকে রাত ৯টার দিকে ফোন করে। এ সময় অপহরণকারীচক্রের হোতা মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে জীবন্নাহারকে বলে, ‘তোমার ছেলেকে জীবন্ত পেতে চাইলে খোঁজাখুঁজি বাদ দাও। মাইকিং বন্ধ কর। পাশাপাশি পুলিশের কাছে গেলে খবর আছে। সবকিছু বাদ দিয়ে কোনো চালাকির চেষ্টা না করে মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যাও।
স্বাধীন খান বলেন, এরপর আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে ওই নাম্বারে যোগাযোগ করি। পরে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হই। তাদের কথামতো রাত ১টার দিকে উপজেলার সাধুবাড়ী-ঘোলাগাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ঘুটুবটতলা নামক স্থানে নামফলকের কাছে এক লাখ টাকা রেখে আসি। কিন্তু সেখানে ছেলেকে পাইনি। পরে আবার ওই নাম্বারে যোগাযোগ করি। তখন তারা বলে উপজেলার মামুরশাহী মাদ্রাসা এলাকায় গেলে আপনার ছেলেকে পাবেন। এরপর রাত ৩টার দিকে ওই মাদ্রাসায় অবস্থিত মসজিদের বারান্দা থেকে ছেলেকে উদ্ধার করি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমদ হাশমী বলেন, স্বাধীন খানের কাছে বিষয়টি শুনেছি। ছেলেটিকে পাওয়া গেছে বলেও শুনেছি। কিন্তু মুক্তিপণ দেওয়ার কথা আমার জানা নেই। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/ইইউ/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)