যশোর অফিস : পিকনিকের বাস উল্টে ৭ শিশু শিক্ষার্থী নিহত ও প্রায় অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনায় বেনাপোলে চলছে শোকের মাতম। গুরুতর আহত ১৫ শিক্ষার্থীকে শনিবার রাতেই যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্তানান্তর করা হয়েছে।

নিহতদের মৃতদেহ শনিবার গভীর রাতে চৌগাছা থানা পুলিশ বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শফিক জানান, রাত ২টায় মৃতদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মৃতদেহ গ্রহণের জন্য রাতে বেনাপোলে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সেখানে নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি কেউ। রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ ভিড় করেন নিহতদের বাড়িতে।

যশোর জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ২টায় বেনাপোল বলফিল্ডে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন জানিয়েছেন, নিহতদের স্মরণে শনিবার রাত থেকে পৌর এলাকায় তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৩৯ জনকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১১ জনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১১ জনকে ও চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চারজনকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত তিন শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা। সিএমএইচের একটি সূত্র জানিয়েছে, আহত এক শিশুকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা নেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮টায় চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের ঝাউতলায় স্কুলের একটি পিকনিক বাস পুকুরে পড়ে গেলে ৭ শিশু নিহত এবং অর্ধশত আহত হয়। যশোরের বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই বাসটি মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে পিকনিক শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাতেই বাসটি উদ্ধার করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এফএস/এমসি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)