দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তেলপাম্প মালিকদের উদ্দেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কেউ যদি মনে করে আমাদের (সরকার) জিম্মি করে ব্যবস্থা নেবে, তাহলে সরকার আরও কঠোর হবে। তারা আমাদের ডিলার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার কাছ থেকে তেল পাম্পগুলোর মালিকদের সঠিক মাপে তেল নিতে হবে।

রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ময়মনসিংহের গৌরিপুরের সুতিয়াখালীতে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার পার্ক নির্মাণে চুক্তি সই শেষে বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশন বৃদ্ধি এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে ইজারা নেওয়া জমির মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১২ দাবি আদায় না হলে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে দেশের সব পেট্রোলপাম্পে লাগাতার ধর্মঘট শুরুর হুমকি দিয়েছেন পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার, তাদের দাবিদাওয়া থাকবেই। পেট্রোলপাম্প মালিক সমিতির নেতারা আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের সবকিছু সমাধানের জন্য। সে সময় তারা তাদের দাবিদাওয়া নির্দিষ্ট করে বলেননি। ওই মিটিংয়ে তাদের প্রায় সব দাবিই পূরণ করা হয়েছে। এখন যদি তারা নতুন কোনো দাবি দাওয়া নিয়ে আসে, সেটা কতটুকু যৌক্তিক দেখা হবে।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ভেজাল পেট্রোলের বিরুদ্ধে নেমেছি। শুধু পেট্রোল নয়, সারাদেশে অকটেনসহ যত লিকুইড ফুয়েল আছে আমরা ভেজাল পাম্প (যারা ভেজাল দেয়) বন্ধ করা শুরু করেছি। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।

ভেজাল পেট্রোল বিক্রেতা এসব পাম্প মালিকদের কারণেই লাগাতার পাম্প ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমি সেদিকে নিতে চাই না। আমি মনে করি যে, তারা আমাদের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার ডিলার। এগুলো থেকে তারা (ব্যবসায়ী) তেল নিচ্ছেন। আমি তাদের বলেছি সঠিক মাপে, সঠিক কোয়ালিটিতে তেল নিতে হবে। তা যদি না হয় আমরা বন্ধ করে দেব। কেউ যদি মনে করেন যে, এই ঘটনার জন্য পুঁজি করে তারা আমাদের জিম্মি করে ব্যবস্থা নেবেন, তাহলে সরকার এ ব্যাপারে আরো কঠোর হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের জায়গা (তেল পাম্পের জন্য) দিতে ইন্টারেস্টেড না। এই মন্ত্রণালয় (বিদ্যুৎ-জ্বালানি) এটা কোনোভাবেই সহ্য করবে না। অবৈধ গ্যাস সংযোগ আমরা বন্ধ করার অভিযানে নেমেছি। অবৈধভাবে সিএনজি পাম্প চলছে। অলরেডি আমরা বন্ধ করা শুরু করে দিয়েছি। সুতরাং ভেজাল করে তেল বিক্রি করায় যানবাহনে ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে গত এক বছর বারবার তাদের বলে আসছিলাম। সুতরাং এখন আমরা কঠিন হচ্ছি।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে পরিবেশবাদীদের কার্যক্রম প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এত দিন মনে করছিলাম ব্যাপারটি শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য। কিন্তু এখন যেভাবে চলছে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। মনে হচ্ছে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবেই তারা নিতে যাচ্ছেন।

প্রকল্পের এই পর্যায়ে রামপাল নিয়ে বিবেচনার সুযোগ আছে কিনা-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। বাকিটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা চাই খুলনার জনগণ অতিশিগগিরই বিদ্যুৎ পাক।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এম/অক্টোবর ১৯, ২০১৬)