বান্দরবানে সমন্বয়হীনতায় কপাল পুড়বে বিএনপির!
আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, বান্দরবান : বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক মাম্যাচিং ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিং পু জেরীর সমন্বয়হীনতার ফলে কপাল পুড়তে পারে বিএনপির। এমনটিই দাবি করেছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা জানান, লামা উপজেলায় এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেরী গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থী থোয়াইনু অং চৌধুরী (মোটরসাইকেল), মাম্যাচিং গ্রুপের প্রার্থী সেতারা আহমদ (আনারস) ও বিএনপির অপর বিদ্রোহী প্রার্থী আবু মূছা (দোয়াত-কলম)।
বান্দরবান সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেরী গ্রুপের প্রার্থী শ্রমিক নেতা আব্দুল কুদ্দুছ এবং মাম্যাচিং গ্রুপের প্রার্থী ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম।
তবে থানছি উপজেলায় জেরী গ্রুপ ও মাম্যাচিং গ্রুপ দুজন করে প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করে। দুজনের তালিকায়ই বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো থাকায় এ আসন থেকে তিনিই বিএনপির একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে। তবে আলীকদম উপজেলায় ম্যামাচিং গ্রুপ দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী দিয়েছে। তারা হলেন- আবুল কালাম ও ফরিদ আহম্মেদ। তবে জেরী গ্রুপের পছন্দের তালিকায় রয়েছে আবুল কালামের নাম।
অপরদিকে, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় প্রার্থী সঙ্কটে ভুগছে বিএনপি। উপজেলা দুটিতে বিএনপির দুই গ্রুপের কারোরই পছন্দসই প্রার্থী না থাকায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) দুই নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- রুমা উপজেলায় অংথোয়াই চিং মারমা (আনারস), রোয়াংছড়ি উপজেলায় ক্যব্য মং মারমা (আনারস)।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ম্যামাচিং গ্রুপের প্রার্থী ছাত্রনেতা আব্দুল আলীম বাহাদুর। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ (জামায়াত নেতা) জেলে থাকায় প্রার্থী সমর্থনে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি জেরী গ্রুপ।
এদিকে, বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার সমন্বয়হীনতা ও পাল্টাপাল্টি প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাবিকুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরী মায়ের মৃত্যুতে পারিবারিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করে প্রার্থী দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বলেন, ‘কোনো উপজেলায় বিএনপির দুজন প্রার্থী নেই, প্রতিটি উপজেলায় একটি পদের বিপরীতে একজনই প্রার্থী। ব্যক্তিবিশেষের আলাদা পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। তবে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় জেএসএস সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থন দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক মাম্যাচিং বলেন, ‘প্রার্থী নির্বাচনী বোর্ডের সদস্য কারা জানি না। তবে আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলা থেকে দুজন করে প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করেছি। আমাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীরা সকলে যোগ্য, গ্রহণযোগ্য, ত্যাগী ও সক্রিয় নেতা।’
(দ্য রিপোর্ট/এএস/একে/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)