কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার পথ চাকাযুক্ত নৌকার প্যাডেল চালিয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা থেকে ঢাকায় এসেছেন কৃষক সিদ্দিক মিয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন ৭ ও ৫ বছর বয়সী দুই শিশুপত্র সাকিব ও আশিক।

তিন চাকার উপরে স্টিল ও লোহা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি এ নৌকায় রিকশার মতোই প্যাডেল রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভক্ত সিদ্দিক মিয়ার সঙ্গে শনিবার শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তার বাড়ি পূর্বধলা উপজেলার পাইরাটি গ্রামে। ৬ ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক তিনি।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিদ্দিক মিয়া জানান, বিশেষ এই নৌকাটি তৈরি করতে ১৭ হাজার টাকা লেগেছে। এ রকম আরও ৭টি নৌকা বানিয়েছেন তিনি। শিশুপুত্র সাকিব ও আশিককে নিয়েই আরেকটি প্যাডেল চালিত বিশেষ নৌকায় নেত্রকোনা থেকে ২০১৪ সালে ঢাকায় বিজয় দিবসে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই নৌকা স্থানীয় সংসদ সদস্য রিয়াসত আলী বেলালের ন্যাম ভবনের বাসার সামনে রাখা হয়।

তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরর রহমান নেত্রকোনা কলেজে এক জনসভায় গিয়েছিলেন। ওই জনসভায় ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আহত হয়েছিলেন তিনিসহ অনেকে। বঙ্গবন্ধু আমাদের খোঁজ নিয়েছিলেন। ওই সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর একান্ত ভক্ত হয়ে উঠি।

সিদ্দিক মিয়া বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি। আমার সন্তানদেরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলছি। তাই দুই ছোট ছেলেকেও নিয়ে এসেছি।

কীভাবে ঢাকায় এলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তাই কাউন্সিলের ভেতরে যেতে পারবো না। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ঘরে তো বসে থাকতে পারি না। ৬ দিন আগে নিজে প্যাডেল চালিয়ে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় এসেছি। প্রথম দিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেনের বাসায় ছিলাম। বাকী দিন ও রাতগুলো এই নৌকার উপরেই কেটেছে। শাহবাগে ২ দিন বাকি দিনগুলো ধানমন্ডি এলাকায়।’

কেনই বা এ ধরনের বিশেষ নৌকা বানানোর উদ্যোগ-জানতে চাইলে সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি। বহুদিন ধরেই আমি চেষ্টা করছি বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে দেখা করতে। আশা করি তার সঙ্গে আমার দেখা হবেই। কেউ না কেউ তার সঙ্গে আমার সাক্ষাত করিয়ে দেবেনই।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এমকে/এনআই/অক্টোবর ২২, ২০১৬)