‘মানুষের তা-ই আছে যা মানুষ হারায়’
জুননু রাইন দীর্ঘ সময় ধরে সাহিত্য সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে দৈনিক যুগান্তরে সাহিত্য এবং বিশেষ সংখ্যা সম্পাদনার দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া কবিতা লিখছেন নিয়মিত। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়াহিদ সুজন
মেলায় কোনো বই আসছে?
না।
লিখছেন তো অনেকদিন ধরে- বই প্রকাশ করছেন না কেন?
পাঠক হিসেবে আমার লেখা আমার কাছে অতটা ভালো লাগেনি; যে ভালোলাগা বই বেরুবার বিষয়ে আমাকে সম্মতি দিবে।
বইমেলা উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীগুলোর ভূমিকা নিয়ে কিছু বলুন?
দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীগুলোর অনেক কিছুই করার থাকে কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতাও আছে। পত্রিকার পলিসি মাথায় রেখে তাদের কাজ করতে হয়। আবার সেই পলিসি মেকিংয়ের ক্ষেত্রে তাকে মাথায় রাখতে হয় সাধারণ মানুষ অথবা জনগণকে। সাধারণ মানুষের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আশ্রয়-প্রশ্রয় অন্য যেকোনো ক্ষেত্রের চেয়ে শিল্প-সাহিত্যে খাপ খাওয়ানো অনেক অকাজের বিষয়। তবুও বিষয়টি ভালোভাবেই মাথায় রাখতে হয়, যেহেতু গণতান্ত্রিক দেশ (?)
বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে বলুন?
পরিকল্পনা নেই... বইমেলা ঘুরে দেখব পছন্দ হলে জ্ঞানার্জন হবে মনে হলে কিনব।
বইকে কীভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন?
আমাদের এখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিপণনের কাজ হচ্ছে না, সেটা খুব জরুরি। বই বিক্রির জন্য প্রকাশকরা যা করেন তার পরিসর খুব একটা বেশি হওয়া সম্ভবও না।
এ জন্য একটা পারিবারিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা দরকার, প্রত্যেক অভিভাবক এবং শিক্ষক বিপণনের কাজটি করতে পারেন সেটা নিজের, দেশ এবং সংস্কৃতির স্বার্থে।
বই মেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
খুবই ইতিবাচক... মেলা তো মাছবাজারের চাইতে ভিন্ন, এখানে শুধু কিনতেই যায় না- অনেকে গিয়েও কিনে, পরিবেশ তাকে হাতছানি দেয় কেনার জন্য। সেই পরিবেশের জন্য পর্যাপ্ত খোলামেলা জায়গা প্রধান শর্ত।
এখন কী লিখছেন বা ভবিষ্যতে কী লিখতে চান?
আমার শৈশব নিয়ে লিখছি এবং ভাবছি সেটা কবিতার মাধ্যমে। মনের মধ্যে একটা কাব্যিক আবহাওয়া তৈরি করা দরকার বিষয়টা ভালোভাবে পাওয়ার জন্য যে নিমগ্ন যাপন দরকার, জীবন ধারণের এই সামাজিক নিয়ম তার প্রতিকূলে।
আমি যে স্বপ্ন দেখতাম শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত, স্বপ্নগুলো আমার যে মুহূর্তগুলোয় বপন করা ছিল- সেই মুহূর্তগুলো ছিল আমার, স্বপ্নগুলোও ছিল আমারই, আমি সেই ব্যর্থ স্বপ্নের ধারক আমার মুহূর্তগুলোকে ফেরত পেতে চাই। আমি সেগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমার কবিতার মধ্য দিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে চাই আমার সেই স্বপ্নাশ্রিত মুহূর্তগুলোকে...। কারণ আমার বিশ্বাস মানুষের তা-ই আছে যা মানুষ হারায়।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/সা/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)