দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইরাকের শিয়া নেতা মোকতাদা আল সাদর রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হাতে লেখা এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।

ওই বিবৃতিতে মোকতাদা বলেছেন, তিনি ভবিষ্যতে সরকারের কোনো পদে থাকবেন না কিংবা পার্লামেন্টের কোনো আসনের প্রতিনিধিত্ব করবেন না।

ওই বিবৃতিতে কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোকতাদা।

২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযান শুরু হলে সাদর ও তার দল মেহদি আর্মি প্রাধান্যে চলে আসে।

তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ৪০ বছর বয়সী এই শিয়া নেতার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে পুনঃনির্বাচনের কথা ভাবছেন মালিকি। তবে জনসম্মুখে মালিকির এই পদক্ষেপের বিরোধীতা করেছে সাদরের অনুসারীরা।

সম্ভ্রান্ত শিয়া পরিবারে জন্ম নেওয়া সাদর সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তব্য ও সাক্ষাৎকারে মার্কিনবিরোধী চিন্তাগুলো উস্কে দিয়েছেন।

সাদরের সমর্থকদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর বার বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারা মার্কিন বাহিনীর অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন।

প্রতিপক্ষ দলের এক ধর্মীয় নেতাকে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২০০৪ সালে সাদরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সাদরের অনুসারীদের বিরুদ্ধে ২০০৬-২০০৭ সালে গোষ্ঠীগত সংঘাতের সময় হাজার হাজার সুন্নি মুসলিমকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে। ওই সময় সাদর ইরাকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

২০০৮ সালে তার মেহদি আর্মির সঙ্গে ইরাকি সেনাবাহিনীর সংঘাত হয়। সে সময় দলটির অনেক সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। দলটি ওই সময় প্রায় ভেঙে যাচ্ছিল।

পরে সাদর প্রধানমন্ত্রী মালিকির সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসে। তিনি ২০১০ সালে মালিকিকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারেও সহযোগিতা করেন। নতুন সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পায় সাদরের দলের সদস্যরা।

২০১১ সালে ইরাকের স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফেরেন সাদর। দেশে ফেরার পর সুর অনেকটাই নরম হয় সাদরের। তিনি ইরাকে একতা ও শান্তির আহ্বান জানান। সূত্র : বিবিসি

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এমডি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)