কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হাসপাতালপাড়া এলাকায় শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রেবা খাতুন (২২) নামের এক গৃহ পরিচারিকা। রবিবার সকালে হাসপাতালপাড়ার ওয়ারেছ আলীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী রেবা খাতুনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

এলাকাবাসী জানায়, বাড়ির মালিক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী মো. ওয়ারেছ আলী সকালে অফিসে যান। পরে তার স্ত্রী বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির ভেতর থেকে রেবা খাতুনের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মানুষ এসে তার গায়ে আগুন দেখতে পায়। পরে গেটের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর নির্যাতনের ফলে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে।

রেবা খাতুন ২০০৫ সাল থেকে চাচা ওয়ারেছ আলীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল। সে রাজারহাট উপজেলার সুলতান বাহাদুর গ্রামের ওয়ারেছ আলীর ভাই মৃত আব্দুল ওহাবের কন্যা।

এ ঘটনার পর বাড়িতে তালা লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বাড়ির লোকজন।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অজয় কুমার জানান, রেবা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এবং কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে বার্ন ইউনিট না থাকায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সোবহান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের ফলে রেবা খাতুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/অক্টোবর ২৩, ২০১৬)