কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সৌদি আরবের মক্কায় রবিবার দুপুর ২টায় দুই দেশের এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং সৌদি আরবের পক্ষে সে দেশের হজমন্ত্রী বন্দর বিন হজ্জাজ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুযায়ী ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার মুসলমান পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন।

সৌদি আরবের মক্কায় নিয়োজিত হজ কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান দ্য রিপোর্টকে এ সব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘এক লাখ এক হাজার হজযাত্রীর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বাকি ৯১ হাজার বেসরকারিভাবে হজ পালন করবেন।’

জনসংখ্যা অনুপাতে এক লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশির হজ করার কোটা থাকার কথা কিন্তু, কম কেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূলত তারা জাতিসংঘের কাছ থেকে জনসংখ্যার হিসাবটা নিয়ে অনুপাত নির্ধারণ করেন। আমরা এক লাখ ৩০ হাজারই বলেছিলাম, কিন্তু সৌদি সরকার এক লাখ এক হাজার করেছে। এ ছাড়া তারা বলেছে, তিন বছর তারা এ সংখ্যা বাড়াবে না। আগামী বছরও একই সংখ্যক বাংলাদেশিকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।’

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ বছর হজের সব কার্যক্রম ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। চুক্তিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছে সৌদি সরকার। যাতে হাজিরা ঘরে বসেই কীভাবে হজ সম্পন্ন করবেন, কোথায় থাকবেন, কী খাবেন তা জানতে পারেন; তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আমরা আইটি এক্সপার্টদের নিয়ে এসেছি। তাদের সেভাবে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’

চুক্তিতে এ বছর এজেন্সিগুলোকে ন্যূনতম কতজন হাজি নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে জানতে চাইলে কাউন্সিলর বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ন্যূনতম ৫০ জনই রাখা হবে। তবে চুক্তির বিস্তারিত না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারছি না।’

সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ চুক্তি সম্পন্ন করতে শুক্রবার ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরবে যান। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, যুগ্ম-সচিব হাসান জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সচিব (হজ) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ধর্মমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. আবু সাঈদ রয়েছেন।

হজ চুক্তি ছাড়াও হাজিদের জেদ্দা-মক্কা-মদিনায় যাওয়া-আসা নিয়ে জেনারেল কার সিন্ডিকেট ও মদিনা আদিল্লা অফিসের সঙ্গে চুক্তি, সৌদি বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইউনাইটেড এয়ারের সঙ্গে ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন। এরপর বেসরকারি বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিমান ভাড়া নির্ধারণসহ অন্যান্য খরচ নির্ধারণ করে ১৫ মার্চের মধ্যে সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার কথা রয়েছে। এরপর ১৬ মার্চ বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে হজ এজেন্সিদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)