বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচন
আরপিও ১৯ ধারা কেন অসাংবিধানিক নয়, হাইকোর্টে রুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো আসনে একক প্রার্থীকে নির্বাচিত করা ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের’ (আরপিও) ১৯ ধারাকে কেন সংবিধানপরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল জারি করেন।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাসান এমএস আজিম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমীন সরকার।
গত ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম এ রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ নম্বর বিধি বাংলাদেশ সংবিধানের ৭,১১,২৭,৩১,৬৫(২), ১২১, ১২২(১) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে তাকে জনগণ পছন্দ করে কিনা-এ ব্যাপারে হ্যাঁ/না ভোটের ব্যবস্থার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুস সালাম বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। জনগণের ভোট ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবেন তা বলা নেই। অথচ আমরা জানতে পেরেছি ১৫৪ জন বা তার বেশি প্রার্থী সমঝোতার ভিত্তিতে একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা অন্যান্যদের সঙ্গে সমঝোতা করে অনেক জায়গায় একক প্রার্থী দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘কাউকে নির্বাচিত হতে হলে তাকে অবশ্যই জনগণের সামনে আসতে হবে। এ জন্য তাকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে হ্যাঁ/না ভোটের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে একক প্রার্থী থাকায় ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হয়েছে। এর সূত্র ধরেই মূলত এ রিট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)