দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক :  বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ৩১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য এই দিন নির্ধারণ করে দেন। এর ফলে তরঙ্গ বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্তই আপাতত বহাল রইল বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবীরা।

আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাকিব।

পরে আইনজীবী রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিতের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে চেম্বার বিচারপতি আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। ৩১ অক্টোবর এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি এই অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর সিটিসেলের কার্যক্রম (স্প্রেকট্রাম বা তরঙ্গ) বন্ধ করে দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সংস্থাটির সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে সোমবার আবেদন করে সিটিসেল।

বিটিআরসি দাবি করেছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং বাকি টাকা দুই মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল।

সিটিসেল তাদের হিসাবমত বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে। কিন্তু বিটিআরসি দাবি করে প্রথম কিস্তির টাকার অঙ্ক ৩১৮ কোটি টাকা। যা বিটিআরসি’র দাবিকৃত টাকার অর্ধেকেরও কম। টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের এই মতবিরোধের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দেয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/এনআই/অক্টোবর ২৫, ২০১৬)