দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির আরো ২২ সদস্যের নাম ঘোষণা করেন। এরমধ্যে অনেকেই আগের পদেই বহাল আছেন। কিন্তু সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নওফেলের নাম ঘোষণা দেওয়ার পরই শুরু হয় যতোসব আলোচনা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তৃণমূলের আওয়ামী সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। কে এই নওফেল। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করে।

এসব কৌতূহলের জবাবে মঙ্গলবার বিকেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের নিজের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে। আমি ২০১৪ সালে ঘোষিত ৭১ সদস্যের নগর কমিটির নির্বাহী সদস্যও ছিলাম।’তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নওফেল বলেন, ‘আমার বাবার সারাজীবনের ত্যাগ ও বিসর্জনের মূল্যায়ন এই পদ। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা অনুসারে এবং দলের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাব। দল ও জনসাধারণের প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে অবিলম্বে সবগুলো সাংগঠনিক জেলায় যাব। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ এগিয়ে নেব। ’পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে অংশগ্রহণ করেছেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রতিবাদে রাজপথে ছিলেন। সে কারণে একাধিকবার তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় আমার বাবাকে রাজনীতি ছাড়তে চাপ দেওয়া হয়। তিনি নতিস্বীকার করেননি। তিনি কারাবন্দী থাকা অবস্থায় আমার বোন মারা যায়। তিনি কখনোই চট্টগ্রাম ছেড়ে যাননি। চট্টগ্রামবাসীকে ভালোবেসেই তিনি সারাজীবন রাজনীতি করেছেন।’ নওফেল ১৯৮৩ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে বাবা মহিউদ্দিনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০১০ সালেই বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতিবিদ হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/অক্টোবর ২৫, ২০১৬)