বগুড়ায় মন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার
বগুড়া প্রতিনিধি : ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার (রাজশাহী) অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় মহাশক্তির ৫১টি পীঠস্থানের অন্যতম তীর্থস্থান বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মা ভবানী মন্দির পরিদর্শন করেছেন। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মন্দির পরিদর্শনে এলে মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পরে তিনি মন্দিরের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। মন্দিরের পুরোহিত ও কমিটির নেতৃবৃন্দ মন্দিরের অতীত ইতিহাস তুলে ধরেন এবং ইতিহাস সম্বলিত পুস্তক ভারতীয় হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেন। মন্দিরের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখে তিনি অভিভূত হন। পাশাপাশি এই মা ভবানী মন্দির উন্নয়নের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় তাঁর সহধর্মীণি পত্রালিকা চট্টোপাধ্যায়, ভবানী মন্দির উন্নয়ন-সংস্কার ও পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ডা. এনসি বাড়ৈ, সদস্য সচিব কল্যাণপ্রসাদ পোদ্দার, সাবেক সভাপতি উৎসবকুমার ভৌমিক, বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাগরকুমার রায়, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন সিং, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সরোয়ার জাহান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক নিমাই ঘোষ, সাপ্তাহিক তথ্যমালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত বসাক, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা শ্যামল বসাক, তপন চক্রবর্তী, পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মা ভবানীর মন্দির উপমহাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাশক্তির ৫১টি পীঠস্থানের অন্যতম। নাটোরের রানি ভবানী এস্টেট কর্তৃক দেবোত্তর ১২ বিঘা জমির ওপর ওই মন্দির অবকাঠামো স্থাপিত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র এই পীঠস্থান ও তীর্থক্ষেত্রে রামনবমী, শারদীয় দুর্গোৎসব, শ্যামাপূজা, মাঘী পূর্ণিমা, বাসন্তী দুর্গোৎসব প্রভৃতি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ওইসব অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকেও প্রতিবছর হাজার হাজার পুন্যার্থী এই মন্দিরে সমবেত হন। পুন্যার্থীদের পূজা অর্ঘদানের জন্য মন্দিরে ব্যবস্থা রয়েছে। মিষ্টান্ন ভোগের জন্য মন্দির চত্বরে মিষ্টির দোকান রয়েছে। এছাড়াও অন্ন ভোগ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এপি/অক্টোবর ২৬, ২০১৬)