যশোর অফিস : কৌশলে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সফল হননি। তাদের কুকীর্তি ধরা পড়েছে সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায়। ক্ষুব্ধ জনতার হাতে গণপিটুনিও খেতে হয়েছে তাদের। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। জনতার বিক্ষোভের মুখে ক্লোজ করা হয়েছে চৌগাছা থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগী পুলিশ কনস্টেবল শরজেতকেও। যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে তাদের।

বুধবার দুপুরে সোর্সের মাধ্যমে সেই ব্যবসায়ীর দোকানে ইয়াবা রেখে তাকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এসআই সিরাজুল ও কনস্টেবল শরজেত। কিন্তু তাতে বাদ সাধেন অন্য ব্যবসায়ীরা। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্য-মিথ্যা বুঝে ফেলেন তারা। এরপর ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পড়তে হয় জনতার রোষানলে। তাদের ভাগ্যে জোটে গণপিটুনি।

এসআই সিরাজুলের এমন আচরণের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন এদিন। তারা চৌগাছা বাজার এলাকার সব দোকান বন্ধ করে দেন। এ সময় ওই এলাকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পুলিশ সুপার আসছেন এমন আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা শান্ত হন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে না পৌঁছলেও অভিযুক্ত ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/অক্টোবর ২৬, ২০১৬)