দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আগামী শনিবার (২৯ অক্টোবর) দীপাবলি উৎসব ও শ্যামাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঐদিন সন্ধ্যায় সহস্রপ্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করবেন। পাশাপাশি রাতে অনুষ্ঠিত হবে শক্তির প্রতীক শ্যামাপূজা।

দীপাবলি হচ্ছে আলোর উৎসব। অশুভ-অকল্যাণের প্রতীক অন্ধকার বিদূরিত করে শুভ ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় এই উৎসব পালন করা হয়। সুখ-শান্তি, জ্ঞান ও সম্পদ প্রদানের জন্য এই উৎসবের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

সন্ধ্যার আঁধারে ঘরে ঘরে দীপাবলি ও জমকালো আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জগৎ জুড়ে আঁধার বিনাশের প্রার্থনা করে থাকেন এদিন। দীপাবলিতে অনেকে প্রিয়জনদের কিছু না কিছু উপহার দিয়ে থাকেন।

সনাতন শাস্ত্রানুসারে, দীপাবলি হিন্দুদের বিশেষ উৎসব। এটি দেওয়ালি, দীপান্বিতা, দীপালিকা, সুখরাত্রি, সুখসুপ্তিকা ও যক্ষরাত্রি নামেও অভিহিত হয়। মহালয়ায় শ্রাদ্ধগ্রহণের জন্য যমলোক ছেড়ে যে পিতৃপুরুষগণ মর্ত্যে আগমন করেন বলে কল্পিত হয়, তাঁদের পথ প্রদর্শনার্থে উল্কা জ্বালানো হয়।

এ কারণে ওইদিন আলোকসজ্জা ও বাজি পোড়ানো হয়। কেউ কেউ রাত্রিতে নিজগৃহে দরজা-জানালায় মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। কেউবা লম্বা বাঁশের মাথায় কাগজের তৈরি ছোট ঘরে প্রদীপ প্রজ্বালন করেন, একে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় আকাশপ্রদীপ।

দীপাবলি উৎসব ঐতিহ্যগতভাবে রাবণবধের পর রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরে এলে যে আনন্দোৎসব হয়েছিল তা স্মরণেই পালিত হয়। শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নরকাসুর বধের স্মারক হিসেবে একে নরকচতুর্দশীও বলা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/এপি/অক্টোবর ২৭, ২০১৬)