দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আইয়্যামে জাহেলিয়াত নয়, এখন আওয়ামী জাহেলিয়াত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রবিবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ও জনমনে আতঙ্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি ঢাকা মহানগর জিয়া পরিষদ আয়োজন করে।

শাহ্ মোয়াজ্জেম বলেন, এখন মসজিদ-মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে। দেশে নারীদের উপর নির্যাতন-ধর্ষণ হচ্ছে। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের মত এখন আওয়ামী জাহেলিয়াতের সময় চলছে।

এ সরকারের আমলে গুম ও খুনের ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ছাত্রলীগই প্রধানমন্ত্রীকে ডোবাবে। শেখ হাসিনা কি দেখেন না ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কি করছে? দেশের যত সহিংসতা হচ্ছে এর দায়ভার প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে।

কমিউনিস্ট ও জাসদের সমন্বয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগকে কনভার্টেড আওয়ামী লীগ বলে অভিহিত করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।

তরুণদের সামনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার এখন মামলা নেওয়ার সময় না। এখন তরুণদের সময়। অনেক মামলা খেয়েছি। জীবনের ২০ বছর জেলেই কেটেছে। তাই এখন আন্দোলনের জন্য তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, যে হারে গণহত্যা চলছে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে যে মহামারী ঘটবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। নির্বাচনের পর গত দেড় মাসে দেশের জনগণের মধ্যে যে বিস্ফোরণের সঞ্চার হচ্ছে তা যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হবে।

জাতি এই অবৈধ সরকারকে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সরকার টিকে আছে। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় পৃথিবীতে কোনো রাজা, রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় দীর্ঘ সময় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারেনি।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কবীর মুরাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, আরব-আমিরাত জিয়া পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ ফিরোজ কায়সার, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, এম জহির আলী, অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসবি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)