চট্টগ্রামে ১০ টাকার চালে অনিয়ম
৩ পরিদর্শককে শোকজ, তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে ১০ টাকার (ওএমএস) চাল নিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ৩ খাদ্য পরিদর্শককে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে তদন্তের জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ।
ওএমএস-এর ডিলারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এবং শুভজিৎ দে’কে শোকজ করে চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ।
দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক কানিজ জাহান এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবুল কাশেম। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম তদন্ত কমিটি গঠনের কথা স্বীকার করে জানান, যে ৩ জন খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদের দুদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই জবাব পাওয়ার পরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দুস্থদের মাঝে কমমূল্যে খোলাবাজারে বিক্রির জন্য দেওয়া সরকারি চাল নিয়ে শুরু হয় হরিলুট। প্রতিদিন বরাদ্দ ৬০ মেট্রিকটন চালের এক তৃতীয়াংশও পৌঁছায় না দরিদ্র মানুষের কাছে। গুদামেই অর্ধেক চাল বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন ডিলাররা। বাকিটা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এই অনিয়ম-দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। ওএমএস-এর চাল নিয়ে এমন ভয়াবহ জালিয়াতিরচিত্র প্রচারিত হয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে। এরপর পরই তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ওই টেলিভিশনের প্রতিবেদনে দেখা গেছে প্রকাশ্যেই ওএমএস-এর এক ডিলারের কাছ থেকে কমিশন নিচ্ছেন খাদ্য পরিদর্শক শুভজিত দে-সহ দুই খাদ্য পরিদর্শক। ডিলারদের সঙ্গে দরকষাকষিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন খাদ্য কর্মকর্তারা। পরে টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখে নিজের কক্ষ থেকে সরে যান তারা।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/অক্টোবর ৩০, ২০১৬)