দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর গেণ্ডারিয়া এলাকায় প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী মোসাম্মাৎ সোনিয়া আক্তার আহত হয়েছেন। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গেণ্ডারিয়ায় লোহারপুল ডেলটা ডায়ানস্টিক সেন্টারের ভেতরে তার প্রেমিক এ ঘটনা ঘটায়।

আহত সোনিয়া আক্তারের বড় বোন রানু বেগম দ্য রিপোর্টকে জানান, খবর পেয়ে আমি ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি।

রানু বেগম আরো বলেন, তিন-চার বছর আগে একই এলাকার লিটন নামের এক ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। সে ঢাকায় পাঁচতলা বাড়ির মালিক এবং অবিবাহিত। এমন কথা বলে সোনিয়াকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে। পরে জানা যায়, সে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে এবং বিবাহিত। এ কথা জানার পর সোনিয়া তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর বিভিন্ন সময় দেখা করতে আসলে সোনিয়া তার আগের স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কথা বলে। এটা নিয়ে নানা সময় তর্ক-বিতর্কও হয়। রবিবার এই এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুড়ি দিয়ে তার গলায়, থুতনিতে এবং পেটের বাম পাশে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারিরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সূত্রাপুর রজনী চৌধুরী রোডে তারা থাকে।

গেণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আকবর আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, সোনিয়াকে জখমের পর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে লিটন হ্যাক্সোসোল খেয়ে আহত হয়। তাই লিটনকে আটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)