শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী সম্পর্কে ৮ তথ্য

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জেনে নিন।(যে চরিত্রগুলোর উল্লেখ মহাভারত ও রামায়ণ উভয় মহাকাব্যেই রয়েছে।)
প্রথম তথ্য : কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে জন্মাষ্টমী তিথি পালিত হয়। মনে করা হয়, ৩২২৮ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ১৯ জুলাই ভগবান কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তিনি যাদব বংশের অবতার।
দ্বিতীয় তথ্য : কৃষ্ণ শব্দের সংষ্কৃত অর্থ হল কালো। কৃষ্ণের মূর্তিগুলিতে তাঁর গায়ের রং সাধারণত কালো এবং ছবিগুলিতে নীল দেখানো হয়ে থাকে। তার রেশমি ধুতিটি সাধারণত হলুদ রঙের এবং মাথার মুকুটে একটি ময়ূরপুচ্ছ শোভা পায়। কৃষ্ণের প্রচলিত মূর্তিগুলিতে সাধারণত তাকে বংশীবাদক এক বালকের বেশে দেখা যায়।
তৃতীয় তথ্য : রাখী বন্ধনের ঠিক ৮ দিন পরে সারা ভারতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হয়। দক্ষিণ ভারতেও পালন করা হয় গোকুলাষ্টমী। মহারাষ্ট্রে এই উৎসব পালিত হয় দহি হান্ডি ফাটিয়ে।
চতুর্থ তথ্য : এদিন শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায় তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উৎসব সবচেয়ে বড় করে হয়।
পঞ্চম তথ্য : শ্রীকৃষ্ণের মোট ১০৮টি নাম রয়েছে। মথুরায় কমপক্ষে ৪০০টি মন্দির রয়েছে যেখানে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা হয়।
ষষ্ঠ তথ্য : কৃষ্ণের নাম নিয়ে যে নৃত্য রয়েছে তার নাম রাসলীলা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পরাস্ত করতে অর্জুনকে যে কথা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, সেই কৃষ্ণের বাণী শ্রীমদ্ভগবত গীতা নামে পরিচিত।
সপ্তম তথ্য : ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে জন্মাষ্টমী উৎসব ধুমধাম করে পালিত হয়। সেখানকার শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে ভক্তেরা পুজো দিয়ে উৎসব পালন করেন।
অষ্টম তথ্য : জন্মাষ্টমীতে বাংলাদেশে ছুটি থাকে। ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে পুরনো ঢাকায় গিয়ে শেষ হয়।
(দ্য রিপোর্ট/একেএ/এআরই/নভেম্বর ০২, ২০১৬)