শুভ জন্মদিন শাবান মাহমুদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ও ডেপুটি চিফ রিপোর্টার শাবান মাহমুদের জন্মদিন ৪ নভেম্বর। শুভ জন্মদিন শাবান মাহমুদ। দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শাবান মাহমুদের জন্ম ১৯৬৭ সালের ৪ নভেম্বর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা গ্রামে। তার বাবা মরহুম আব্দুস সালাম বিশ্বাস গোহালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মা বেগম মমতাজ সালাম একজন গৃহিণী। ৯ ভাই বোনের মধ্যে শাবান মাহমুদ চতুর্থ।
স্থানীয় গোহালা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ বিষয়ে লেটার মার্কসহ ১৯৮৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে এসএসসি পাস করেন শাবান মাহমুদ। এরপর ১৯৮৮ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেখানে আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বে (দ্বিতীয় ব্যাচ) এমএ পাস করেন।
শাবান মাহমুদের স্ত্রীর নাম হুসনে আরা মুন। এ দম্পতির দুই সন্তান। মেয়ে নাবিলা রাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর ছেলে রোদ্দুর মাহমুদ বিয়াম স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে।
শাবান মাহমুদের সাংবাদিকতা শুরু ১৯৮৮ সালে বাংলার বাণী পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে। পরবর্তীতে দৈনিক লাল সবুজ, রূপালী, বাংলাবাজার, আমাদের সময় পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ও ডেপুটি চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিটিভিতে প্রযোজক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এ সাংবাদিক।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের রুটি রুজির আন্দোলনেও সামনে থেকে ভূমিকা পালন করছেন শাবান মাহমুদ। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১২ সালে ডিইউজের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারও আগে ২০০৬ ও ২০০৮ সালে পরপর দুই বার সংগঠনটির যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন ২০০১ সালে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যপদ দেওয়ার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শাবান মাহমুদ। সর্বশেষ গত ০২ নভেম্বর ৪২৭ জন সাংবাদিককে জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে সদস্যপদ দিয়েছেন। পেশাদার সাংবাদিকদের প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কয়জন প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক নেতার মুখ্য ভূমিকা ছিল শাবান মাহমুদ তাদের অন্যতম।
বর্তমানে শাবান মাহমুদ টেলিভিশনের টকশোতে একজন সুপরিচিত মুখ। বিভিন্ন টিভিতে নিয়মিতভাবে টকশোতে আলোচক হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। টকশোতে তার গঠনমূলক আলোচনা ইতোমধ্যে দর্শকনন্দিত হয়েছে।
যতদিন বেঁচে থাকবেন, মানুষের ভালবাসা ও সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকতে চান তিনি। ডিইউজের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের যেকোনো অধিকার আদায়ে আগের মতোই সোচ্চার থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দ্য রিপোর্টকে শাবান মাহমুদ বলেন, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় আমরা সাংবাদিকদের অষ্টম ওয়েজবোর্ড আদায়ে সক্ষম হয়েছিলাম। ডিইউজের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবার আমার চেষ্টা থাকবে ৯ম ওয়েজবোর্ড আদায় ও বাস্তবায়ন করা।
তিনি বলেন, দেশে অনলাইন সাংবাদিকতার ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এ মাধ্যমের সাংবাকিদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অনলাইনের সাংবাদিকরা যাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারেন এজন্য ডিইউজে ভূমিকা রাখবে।
পেশাগত কারণে শাবান মাহমুদ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ডসহ প্রায় অর্ধশত দেশ সফর করেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন একাধিক দেশে। শাবান মাহমুদ জানান, তার প্রিয় রঙ সাদা, প্রিয় খাবার আলু ভর্তা, ছোট মাছ, সবজি খিচুরি, আইড় ও বোয়াল মাছ। অবসর কাটে বই পড়ে, টিভিতে ম্যাগাজিন ও টকশো দেখে।
জন্মদিনের আয়োজন সম্পর্কে শাবান মাহমুদ বলেন, ‘পারিবারিকভাবে প্রতিবছর সাদামাটাভাবে জন্মদিন পালন হয়। এবার রাজধানীর একটি এতিমখানায় ১২৫ জন এতিমকে জুমার নামাজের পর বিরানী ও কোক খাওয়ানো হবে। আর রাতে (০৪ নভেম্বর) তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ মিডিয়া ক্লাব কার্যালয়ে জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হবে। মিডিয়া ক্লাব এই আয়োজন করেছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এনআই/নভেম্বর ০৪, ২০১৬)