দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কবি নাভিল মানদার যিনি কেবলমাত্র লিটল ম্যাগাজিনেই লিখে থাকেন। বিস্ময়কর প্রতিভার চিহ্নগুলো তার কবিতায় লক্ষ্যণীয়। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘আলোকাটা লেন’ (২০০৮) এবং ‘বাদামী পুকুর’ (২০১০)। ছোট কাগজ ‘জঙশন’-এর সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য শুরু থেকে। ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সংখ্যাটি তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

লিটলম্যাগের সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা কীভাবে ?

নাভিল মানদার : ক্ষুদ্র অর্থে নয়। লিটলম্যাগের লিটল ব্যাপারটি ব্যাপক অর্থেই স্বীকৃত। মহাশূন্যে লক্ষ লক্ষ গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যে যেমন পৃথিবী একটা ছোট গ্রহ তেমনি লিটলম্যাগাজিনও ঐ রকম একটা ব্যাপক ‘ছোট’ ধারণ করে। ফলে পৃথিবীর মতোই লিটলম্যাগাজিনও বিশ্ববিক্ষণের আভ্যন্তরীণ জগতের প্রতিনিধিত্বশীল মাধ্যম।

স্বাভাবিকভাবেই লিটলম্যাগের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা সহজাত হয়ে উঠেছে। আমি মনে করি সম্পূর্ণ ফ্রিডমের সঙ্গেই লেখালেখি করার সুযোগ আছে লিটলম্যাগাজিনে।

বাংলাদেশে লিটলম্যাগকে কী পেশা হিসেবে নেওয়ার অবস্থান তৈরি হয়েছে?

নাভিল মানদার : প্রশ্নই ওঠে না। এদেশে লিটলম্যাগ তো দূরে থাক, যারা লিটলম্যাগের বাইরে লিখে তাদেরও পেশা হিসেবে নেওয়ার অবস্থা তৈরি হয়নি। একজন লেখক শুধু লিখেই জীবন যাপন করবে ভাবতে অবশ্য মন্দ লাগে না। যদিও আমি জীবিকা অর্থে একজন পেশাহীন লেখক।

সাহিত্য সাময়িকী এবং লিটলম্যাগের পার্থক্য কোথায়?

নাভিল মানদার : ব্যাপক পার্থক্য। প্রথমেই বলি লিটলম্যাগাজিন কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশে প্রকাশিত হয় না। বিভিন্ন নিরীক্ষাধর্মী এবং নতুন সাহিত্য ও অবশ্যই ব্যক্তি লেখকের সম্পূর্ণ স্বাধীন সৃজনশীলতার সমর্থক হয়ে কাজ করে লিটলম্যাগাজিন।

বাংলাদেশে লিটলম্যাগের সম্ভাবনা দেখছেন কী ?

নাভিল মানদার : অচিন্ত্যনীয় সম্ভাবনা। হয়ত প্রচুর ডামাডোলের ভিতর চোখে পড়ে কম কিন্তু এদেশের লিটলম্যাগ মুভমেন্ট যতটুকু কাজ করে যাচ্ছে শিল্পসাহিত্যের জন্যে, তা নতুন সূর্যের ইঙ্গিত বহন করে। তার তাপ আমাদের দীর্ঘ শীত কাটিয়ে দেবে আশা রাখি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/এএল/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)