দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শেয়ারড বিল্ডিং কারখানা ভবন সরাতে এক বছর সময় দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্রেতারা। অন্যদিকে, এক্ষেত্রে আরও সময় ও ফান্ড চেয়েছে মালিকপক্ষ।

বিজিএমইএ ভবনে রবিবার বিকেলে ইইউর ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ডের সঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের এক বৈঠকে এ দাবি করা হয়।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলামসহ সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিুকর রহমান, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদ, অ্যাকর্ডের বাংলাদেশ অংশের নির্বাহী পরিচালক র ওয়েজ, প্রধান প্রকৌশলী ব্রান্ড লয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাকর্ড আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক খাতের নিরাপত্তার জন্য ১ হাজার ৬০০টি কারখানা পরিদর্শন করবে। এ ক্ষেত্রে তারা ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান এবং আমেরিকান অ্যালায়েন্সের সঙ্গে কাজ করবে। যদিও মালিকদের পক্ষ থেকে অগ্নি, ভবন এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো পবের্ষক্ষণ করবে।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ২০ হাজার বর্গফুট ও ৭ তলা ভবনের বেশি হলে অতিরিক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে অ্যাকর্ড বলছে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম জানান, ক্রেতারা শেয়ারড বিল্ডিং নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর এটা রাতারাতি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়, সময় লাগবে। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও নীতি সহায়তা করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এআই/জেএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)