দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়ছে। এজন্য ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার)(সংশোধন) আইন, ২০১৪’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৭ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী বিভিন্ন অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর ও ফলপ্রসূ আইন। জনস্বার্থে এ আইনের মেয়াদ বাড়ানো দরকার। এজন্য তারা এর মেয়াদ ৪ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করে।

কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলাপ-আলোচনার তা ৫ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়াদ বৃদ্ধির পর ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দ্রুত বিচার আইনটি কার্যকর থাকবে বলেও জানান মোশাররাফ হোসাইন।

২০০২ সালে প্রথম দ্রুত বিচার আইনটি প্রথম কার্যকর করা হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তখন বলা হয়েছিল, ২ বছর পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। পরে বিভিন্ন সময় কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০০৪, ২০০৬ সর্বশেষ ২০১২ সালে ২ বছরের জন্য এ আইনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হয়।

‘চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, যানবাহনের ক্ষতিসাধন করা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ গুরুতর অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য আইনটি করা হয়েছে’ বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বিরোধী দল দমনের জন্য এ আইনের মেয়াদ বাড়ানো হল কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এভাবে কেনো দেখছেন? বিভিন্ন সরকারের আমলে এ আইনটি ছিল। নির্দিষ্ট কোনো দলকে দমনের জন্য যদি আইনটি হত তবে ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আইনটি কিভাবে চালু আছে। আইনটি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

এ ছাড়া বৈঠকে ‘বিমসটেক সেন্টার ফর ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট (বি সি ডব্লিউ সি) প্রতিষ্ঠার জন্য মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন’ স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনেুমোদন দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে ‘মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং অন দ্য স্টাবলিস্টমেন্ট অব দ্য বিমসটেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন অ্যান্ড বিমসটেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ অবর্জারভেটরি’ স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এসবি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)