দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিভিন্ন আইন ভঙ্গের দায়ে সালতা ক্যাপিটাল লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা ও সিএমএসএল সিকিউরিটিজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজ ও অ্যারেনা সিকিউরিটিজকে সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৮৭ তম সভায় এই জরিমানা ও সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোঃ সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

কনসোলিডেটেড কাস্টমার হিসাবে ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর ৮(এ) (১) এবং (২) লংঘন, কতিপয় শেয়ার সর্ট সেলের মাধ্যমে ডিএসই সর্ট সেল রেগুলেশন ২০০৬ এর ৪(১) লংঘন, গ্রাহকের সাথে লেনদেনের বিপরীতে ৫ লাখ টাকার অধিক নগদ জমা প্রদানের সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর ৮(১) (সিসি) (আই) লংঘন ও বিনিয়োগকারীকে কনর্ফামেশন নোট প্রদান না করার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর ৪(৫) লংঘন করায় সালতা ক্যাপিটাল লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নন মার্জিনেবল ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ে নেটিং সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে কমিশনের নির্দশনা এসইসি/সিএমআরআরসিডি /২০০১-৪৩/১৬৯ এবং এসইসি/ এসআরএমআইডি /৯৪-২৩১/১৬৪০ লঙ্ঘন ও নেট ক্যাপিটাল ব্যালেন্সে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রুলস ১৯৮৭ এর ২(বিবি) লঙ্ঘন করায় সিএমএসএল সিকিউরিটিজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে অনুমোদিত প্রতিনিধির আত্মীয়ের নামে পরিচালিত বিও হিসাবে নেগেটিভ ব্যালেন্স প্রদান করার ম্যাধ্যমে কমিশন ডিরেকটিভ নং-এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/৩১ ভঙ্গ, গ্রাহকের হিসাবে তহবিল ঘাটতি থাকার পরেও কিছু বিনিয়োগকারীকে অর্থ প্রদান করার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিধিমালা, ২০০০ এর দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত আচরনবিধির অনুচ্ছেদ ১ লংঘন, নগদ হিসাবে মার্জিণ ঋণ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর সেকশন ৩(২) লংঘন করেছে অ্যারেনা সিকিউরিটিজ। তবে ব্রোকারেজ হাউজটি সংশ্লিষ্ট আইন পরিপালনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘাটতিসমূহ দূর করেছে। যাতে বিএসইসি ব্রোকারেজ হাউজটিকে সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিনিয়োগকারীকে নেট ক্যাপিটাল ব্যালেন্স এর ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর সেকশন ৫(১) লংঘন, নন মার্জিনেবল ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কমিশনের নির্দশনা এসইসি/সিএমআরআরসিডি /২০০১-৪৩/১৬৯ লংঘন ও কনসোলিডেটেড কাস্টমার হিসাবে প্রায় ৩ কোটি টাকা ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর ৮(এ) (১) এবং (২) লংঘন করেছে হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড। তবে ব্রোকারেজ হাউজটি সংশ্লিষ্ট আইন পরিপালনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘাটতিসমূহ দূর করেছে। যাতে বিএসইসি ব্রোকারেজ হাউজটিকে সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/নভেম্বর ০৮, ২০১৬)