দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি-জামায়াতের ১৯ দলীয় জোটে আফগানিস্তান থেকে আল কায়েদার প্রশিক্ষণ নেওয়া অনেক নেতা আছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বীরউত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, তরবারি দিয়ে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়নি। আজ বাংলাদেশে ইসলামের কথা বলে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, কোরআন শরিফ পোড়াচ্ছে। আর জাওয়াহিরি তাদের সাফাই গাইছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এরা বলেছিল ইসলাম রক্ষার কথা। এ সময় তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছিল, আমাদের মা-বোনদের গনিমতের মাল উল্লেখ করে তাদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল। আজও তারা একই পথে আছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছে- বাংলাদেশ একটি বৃহৎ কারাগার, আর একই কথা বলেছে আল কায়েদা। এ থেকেই বোঝা যায় বিএনপি-জামায়ত-আল কায়েদা একই সূত্রে গাঁথা। এর প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের অভ্যুদয় নিয়ে জামায়াতের অবস্থান ও আল কায়েদার অবস্থান একই।

তিনি আরও বলেন, জাওয়াহিরি বলেছেন- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তারা আলেম। রাজনৈতিকভাবে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। খালেদার বক্তব্য ও আল কায়েদার বক্তব্য একই। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপির সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যে সব বিদেশিরা বিএনপিকে নির্বাচন বর্জনের উপদেশ দিয়েছিল তারাই হতাশ হয়েছে বিএনপি-জামায়তের আন্দোলন দেখে, আন্দোলনের সামর্থ্য দেখে। তাদের আন্দোলনে কোনো জনসমপৃক্ততা নেই। যা হোক নির্বাচন হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা আশা করছি ২০২১ নয় ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সাম্যবাদী দলের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এসবি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)