যমুনা গ্রুপের বিরুদ্ধে বসুন্ধরার মামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে যমুনা গ্রুপের বিরুদ্ধে ১১শ’ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও তার চেয়ারম্যান আলহাজ আহমেদ আকবর সোবহান।
সোমবার দুপুরে ঢাকা যুগ্ম জেলা জজ এলাহী ভূঁইয়ার আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আগামী ৩১ মার্চ সমন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলায় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সালমা ইসলাম, তাদের ছেলে শামীম ইসলাম, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যমুনা প্রিন্ট, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা, যমুনা ফিউচারপার্ক সহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর যমুনা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘বসুন্ধরা হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি : মন্ত্রী, সচিবের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ : দ্রুত তদন্ত দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা- ড্যাপ উপকমিটির সর্ববৃহৎ দুর্নীতি’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়।
এ সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সি এম এম আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার ১১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ঢাকা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলাটি (মামলা নং ১৫/২০১৪) করা হয়।
মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাদের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার মাধ্যমে কুৎসামূলক মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করে আসছে।
মামলায় বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আবাসন, সিমেন্ট, লৌহ, কাগজ, খাদ্য, প্রিন্টিং, শিপিংসহ বিভিন্নখাতে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী ও প্রায় ২ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকার সঙ্গে জড়িত আছেন।
দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও কাল্পনিক বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এসবি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)