চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে বসছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার
চট্টগ্রাম অফিস : অপচয়রোধ এবং জাতীয় সম্পদ গ্যাস রক্ষার উদ্যোগ হিসেবে চট্টগ্রামে প্রিপেইড মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
জানা গেছে, বন্দরগরী চট্টগ্রামে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক মিলে গ্যাসের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখ। এর মধ্যে প্রতিদিন ৬০ হাজার গ্রাহক বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেন তার সমান গ্যাস অপচয় করেন।
শুধু বারবার চুলা জ্বালানোর ঝামেলা আর কাপড় শুকানোর জন্য এই গ্যাস অপচয় হচ্ছে বলে মনে করেন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা।
এ অপচয়রোধ করতে পর্যায়ক্রমে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে নগরীর ৬০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে। এই পদ্ধতিতে গ্যাস সংকট নিরসনের পাশাপাশি উপকৃত হবে গ্রাহকরা।
প্রাথমিকভাবে আগামী বছরের শুরুতে নাসিরাবাদ ও খুলশী আবাসিক এলাকায় বসানো হবে তিন হাজার গ্যাসের প্রিপেইড মিটার। পর্যায়ক্রমে চাঁন্দগাও, খুলশী ও চকবাজারসহ পুরো নগরীর গ্রাহকরা এই সেবার আওতায় আসবে। সরকার ও জাপানি সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪৭ কোটি টাকা।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তাদের মতে রান্না হোক বা নাই হোক বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এমনকি গ্যাস পুড়িয়ে কাপড় শুকানোর দৃশ্যও চোখে পড়ে হরহামেশা। ব্যবহার কম বা বেশি যাই হোক গ্রাহককে মাস শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয় বলে বাসাবাড়ি থেকে কলকারখানা সব যায়গায় হরদম চলে জাতীয় সম্পদ গ্যাস অপচয়ের মহোৎসব।
এ অবস্থায় গ্যাসের অপচয় ঠেকাতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি চট্টগ্রামে বসাতে যাচ্ছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার। গ্রাহকরা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার গৃহিণী মাহমুদা খানম বলেন, প্রিপেইড সিস্টেম হলে আমাদের সচেতনতা বাড়বে। তখন যত টাকা ঢুকানো হবে ততখানি গ্যাস ব্যবহার হবে। এতে গ্যাস খরচ কম হবে বলে জানান তিনি।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহম্মদ মজুমদার দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রিপেইড পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে দেওয়া কার্ডটিতে ঢুকাতে হবে টাকা। আর বাড়ির আঙ্গিনায় বসানো মিটারে কার্ডটি রিচার্জ করলেই টাকার পরিমাণে পাওয়া যাবে গ্যাস।
তিনি আরও বলেন, মিটার ইনস্টলেশনের সঙ্গে সঙ্গে একটি কার্ড দেওয়া হবে। কার্ড রিচার্জ করলে গ্যাস পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতি গ্রাহকবান্ধব। চট্টগ্রামে প্রায় ছয় লাখ গ্রাহক রয়েছে, সবাইকে মিটার সিস্টেমে আনতে পারলে গ্যাস খরচ অনেক কমে যাবে।
(দ্য রিপোর্ট/এইচ/এসএস/এম/নভেম্বর ১১, ২০১৬)