‘নির্বাচন কমিশনের অসহযোগিতায় প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়নি’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনের অসহযোগিতার কারণে প্রথম পর্যায়ে ৯৮ উপজেলার নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীগণের তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন।
৯৬ উপজেলার ৪২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর তথ্য নিয়ে একটি রিপোর্ট তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রদত্ত হলফনামার তথ্য প্রকাশ ও প্রচার না করার জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, এ মর্মে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন-২০১৪ এর প্রথম পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৯৬ উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪২৮ জনের মধ্যে ১৫ জন হত্যা মামলার আসামি এবং ১২২ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে। বাৎসরিক ১ কোটি টাকার উপরে আয় করা প্রার্থী আছেন মাত্র ৬ জন। বাকিদের মধ্যে ৬৭.৫২ শতাংশ প্রার্থী বছরে ৫ লাখ টাকার নিচে আয় করে। অনেক প্রার্থীই সম্পদের আর্থিক মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপন করা সম্ভব হয়নি। ৪২৮ প্রার্থীর মধ্যে আয়কর প্রদান করেন মাত্র ২৪.০৬ শতাংশ প্রার্থী।
সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, দেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার জন্য এই উপজেলা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের নিজেদেরই হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্যসমূহ ভোটারদের সামনে তুলে ধরা উচিৎ। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রার্থীদের তথ্যসমূহ নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে উপজেলা ভিত্তিক ভোটারদের জ্ঞাতার্থে লিফলেট আকারে তুলে ধরা হলে ভোটাররা প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে শুনে বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারতেন।
দিলীপ কুমার বলেন, নির্বাচন কমিশন চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন-২০১৪ এর জন্য চার দফায় মোট ৩৩৫টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করেছে। বাকি উপজেলাগুলোর তফসিলও শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। সবগুলো উপজেলার নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই শেষ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সুজনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, ঢাকা জেলা সহ-সভাপতি আবুল হাসনাত, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হক প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসবি/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)