মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা
মাহফুজ স্বপন, দ্য রিপোর্ট : চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বুধবার। নিয়মানুযায়ী সোমবার মধ্যরাতেই (রাত ১২টা) শেষ হচ্ছে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। একই সঙ্গে নির্বাচনী উপজেলাগুলোতে এ সময় যান চলাচলও বন্ধ থাকবে।
নির্বাচনের জন্য ৪০ জেলার ৯৭ উপজেলা প্রস্তুত থাকলেও এখনও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। তবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সোমবার সকালেই মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে রয়েছে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন দলীয় ব্যানারে না হলেও দলীয় প্রভাব রয়েছে সবখানেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো প্রার্থী দিয়েছে। রয়েছে প্রধান দুটি দলেরই অসংখ্য বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে মঙ্গলবার ভোট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে (ইসি)। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ১০২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ৪০ জেলার ৯৭টি উপজেলায়। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে রংপুরের চারটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ দফার পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শন্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সারাদেশে ৪৮৭ উপজেলায় এ পর্যন্ত চার ধাপে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা পূর্ব থেকে সকল প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে। তা অব্যাহত থাকবে নির্বাচনের পর ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। কেউ আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল হবে।
নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও নিয়মিত বাহিনীর সদস্য ছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬ জন), আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে দু’জন হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৩৮৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
৯৭টি উপজেলায় মোট এক হাজার ২৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৪৩২ জন। ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থী ৫১৩ জন ও ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থী ৩২৯ জন।
এ সব এলাকায় মোট ভোটার এক কোটি ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৭ জন, মহিলা ভোটার ৮২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩৫ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৯৫টি, ভোটকক্ষ ৪৩ হাজার ২৯০টি। প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে মোট ৬ হাজার ৯৯৫ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৪৩ হাজার ২৯০ জন এবং পোলিং অফিসার হিসেবে ৮৬ হাজার ৫৮০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এসকে/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)