শাহাদাৎ তৈয়বের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘আদোনিসের নির্বাচিত কবিতা’ (২০১২) শিরোনামের অনুবাদ। ‘মাহমুদ দারবিশের কবিতা : ভাব ও বিষয় অনুষঙ্গ’ শিরোনামে তার একটি গবেষণা রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা করছেন। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওয়াহিদ সুজন

এবারের মেলায় কী কোনো বই আসছে?

‘ধ্বংস বিস্মৃতি আয়না ও নুনের ইতিহাস’ নামে একটি কবিতার বই আসছে। এটি আমার প্রথম কবিতার বই। বইটি বের করেছে আদর্শ।

বইটি সম্পর্কে কিছু বলুন...

নিজের বই সম্পর্কে আসলে কিছু বলার থাকতে পারে? এ বিষয়ে পাঠকেরই সব অধিকার। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ায় আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি, বইটি পাঠককে তার কাব্যবোধ ও রস আস্বাদন থেকে বঞ্চিত করবে না। কারণ নতুন কোনো ভাবনা, চিন্তার খোরাকও দিতে পারে এ বই। বইটির ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী।

যদিও আগে একটি বই প্রকাশ পেয়েছে। এটি তো মৌলিক বই। সে হিসেবে প্রথম বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলুন...

একেবারে শেষ সময়ে এসে বইটি তৈরি করায় ভালো বিপদে পড়তে হয়েছে। এ সময়ে প্রকাশক পাওয়া বেশ কষ্টকর। তার ওপর এমনিতেই তরুণদের বই নিতে প্রকাশকরা রাজি হয় না। এরপরও ‘আদর্শ’র মাহবুব রাহমান নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আমার বইটি বের করতে রাজি হন। আমার আগের বইটিও বের করে আদর্শ। আদর্শ বরাবরই বইয়ের ব্যাপারে বেশ যত্নশীল। তাদের প্রকাশনার মানও অনেক ভাল।

পাঠকের কাছে বই পৌঁছে দিতে আপনার পরামর্শ কী?

বইয়ের প্রতি আগ্রহ ধরে রাখাই গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে মানুষের রুচি ও আগ্রহের কথা বিবেচনা করে জেলা শহরগুলোতে নিয়মিত মেলার আয়োজন করা যায়। সরকারেরও এতে দায়িত্ব রয়েছে। গণগ্রন্থাগারের সংখ্যা আরও ব্যাপকভাবে বাড়ানো উচিত। প্রতিটি থানায় অন্তত একটি করে গণগ্রন্থাগার করা উচিত। এরপর ক্রমান্বয়ে প্রতিটি ইউনিয়নেও গণগ্রন্থাগার স্থাপন জরুরি। এ ছাড়া বইপাঠ নিয়েও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে।

এবার কী কী বই কিনবেন?

এখনই বলতে পারছি না ঠিক কি বই কিনব। মেলায় কারা কোন বই বের করেছে, একটু জেনেশুনে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর কিনব।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণকে কীভাবে দেখছেন?

আসলে মেলা নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়। এ নিয়ে বিশেষ কি আর বলব। মেলার উদ্দেশ্য লক্ষ্য বেশ আগে থেকেই অনেকটা শেষ হয়ে গেছে, তার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে রাজনীতি ও গোষ্ঠীগত সাংস্কৃতিক আধিপত্য। তবে মেলা ঘুরে একে সম্প্রসারণ নয় বিচ্ছেদই মনে হল। মেলা যেকোনো এক জায়গায় হলে ভাল হয়।

লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?

কবিতা, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখে যাব। আর বিশ্বসাহিত্যের কিছু বিশেষ কাজ অনুবাদ করার পরিকল্পনা আছে।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)