বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট থানা বিএনপি সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জানে আলম খোকাকে কেন বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোর্টিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ ছাড়া শেরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী কেএম মাহবুবার রহমান হারেজের বিপক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় শেরপুর উপজেলা বিএনপির মির্জাপুর ও সুঘাট ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া যুবদলের ৪ ইউনিয়ন কমিটির ৮ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শেরপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলু স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. হারুনার রশিদ (সোনা), সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক।

গাড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক জিলহক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আমিনুল ইসলাম (কাজল)। এর আগেও ৫ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।

এদিকে রবিবার শেরপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম আরফান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুদ্দৌলা মামুন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কুসুম্বী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. আব্দুল মোমিন, খামারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, বিশালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. বাবলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নান্নু মিয়া, ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. আমান উল্লাহ আমান, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুদ্দৌলা মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ১৯ দলীয় প্রার্থী কেএম মাহবুবার রহমান হারেজকে সর্মথন দেওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে কাজ করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান বহিষ্কারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এএস/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)