‘আগামী বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য অধিক বরাদ্দ’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য অধিকতর অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য যে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল তা খুব কমই ব্যয় হয়েছে। জাজিরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ ছাড়া আর ব্যয় তেমন কিছুই হয়নি এবং বড় বড় কন্ট্রাক্টগুলো না হওয়ায় এ বছর এ অর্থ ব্যয় করা সম্ভবও হবে না।’
আগামী বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য অধিকতর অর্থ বরাদ্দ রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দরদাতা মনোনীত হলে তারা অগ্রিম অর্থ চাইতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে পাঁচ বছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ২১০ কোটি ডলার নেওয়া হতে পারে। প্রতিবছর বাজেটে এ জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং এর বিনিময়ে ডলার নেওয়া হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি করা সার ও জ্বালানি তেলের মূল্য যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হয় একইভাবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ও পরিশোধ করা হবে।’
বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ তো খাওয়ার জন্য নয়, এটা ব্যবহারের জন্য।’
পদ্মা সেতু নির্মাণে বৈদেশিক মুদ্রার যোগান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নামে অগ্রণী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ করা পদ্মা সেতুর টাকা ওই অ্যাকাউন্টে যাবে, ব্যাংক তা সরবরাহ করবে। যদি কোনো কারণে ব্যাংক তা সরবরাহ করতে না পারে, বাংলাদেশ ব্যাংক তখন সাপোর্ট দেবে।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র মতে, পদ্মা সেতুর জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটে ২০ কোটি ডলার, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে ৭০ কোটি ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬০ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫০ কোটি ডলার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এনডিএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)